আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৭৫৩৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার মেয়ে হিন্দু ছেলের সঙ্গে বিয়ে করেছেন ।তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বা চলা ফেরা যাবে কি?

২৫ জুলাই, ২০২১
West Bengal 700040

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


السلام عليكم ورحمة الله وبركاته



ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
এ কেমন কথা শুনতে হলো আমাদের?
এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন আমাদের মুসলিম সমাজে আর কখনোই দ্বিতীয়বার না ঘটে। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুক।

এই মেয়ে ইসলামের চেয়ে কুফরকে পছন্দ করেছে। তার ঈমানের ব্যাপারে আশঙ্কা রয়েছে।

পবিত্র কুর'আনুল কারীমে আল্লাহর সুস্পষ্ট ঘোষণা :

اَلزَّانِیۡ لَا یَنۡکِحُ اِلَّا زَانِیَۃً اَوۡ مُشۡرِکَۃً ۫ وَّالزَّانِیَۃُ لَا یَنۡکِحُہَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوۡ مُشۡرِکٌ ۚ وَحُرِّمَ ذٰلِکَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারীকেই বিবাহ করে। আর ব্যভিচারিণীকে বিবাহ করে কেবল সেই পুরুষ যে নিজে ব্যভিচারকারী বা মুশরিক। মুমিনদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
—আন নূর - ৩

আপনার মেয়েকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঈমানের দাওয়াত দিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। এতে কাজ না হলে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখুন।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন:

لَا تَجِدُ قَوۡمًا یُّؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ یُوَآدُّوۡنَ مَنۡ حَآدَّ اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ وَلَوۡ کَانُوۡۤا اٰبَآءَہُمۡ اَوۡ اَبۡنَآءَہُمۡ اَوۡ اِخۡوَانَہُمۡ اَوۡ عَشِیۡرَتَہُمۡ ؕ  اُولٰٓئِکَ کَتَبَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الۡاِیۡمَانَ وَاَیَّدَہُمۡ بِرُوۡحٍ مِّنۡہُ ؕ  وَیُدۡخِلُہُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ  رَضِیَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ وَرَضُوۡا عَنۡہُ ؕ  اُولٰٓئِکَ حِزۡبُ اللّٰہِ ؕ  اَلَاۤ اِنَّ حِزۡبَ اللّٰہِ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ٪

যে সব লােক আল্লাহ ও আখেরাত দিবসে ঈমান রাখে, তাদেরকে তুমি এমন পাবে না যে, যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখছে। হােক না তারা তাদের পিতা বা তাদের পুত্র বা তাদের ভাই কিংবা তাদের স্বগােত্রীয়। তারাই এমন, আল্লাহ যাদের অন্তরে ঈমানকে খােদাই করে দিয়েছেন এবং নিজ রূহ দ্বারা তাদের সাহায্য করেছেন। তিনি তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত থাকবে। তাতে তারা সর্বদা থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন এবং তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেছে। তারা আল্লাহর দল। স্মরণ রেখ, আল্লাহর দলই কৃতকার্য হয়।
—আল মুজাদালাহ্‌ - ২২

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:

قَدۡ کَانَتۡ لَکُمۡ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ فِیۡۤ اِبۡرٰہِیۡمَ وَالَّذِیۡنَ مَعَہٗ ۚ اِذۡ قَالُوۡا لِقَوۡمِہِمۡ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنۡکُمۡ وَمِمَّا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ۫ کَفَرۡنَا بِکُمۡ وَبَدَا بَیۡنَنَا وَبَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃُ وَالۡبَغۡضَآءُ اَبَدًا حَتّٰی تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَحۡدَہٗۤ اِلَّا قَوۡلَ اِبۡرٰہِیۡمَ لِاَبِیۡہِ لَاَسۡتَغۡفِرَنَّ لَکَ وَمَاۤ اَمۡلِکُ لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ رَبَّنَا عَلَیۡکَ تَوَکَّلۡنَا وَاِلَیۡکَ اَنَبۡنَا وَاِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ

তােমাদের জন্য ইবরাহীম ও তার সঙ্গীদের মধ্যে উত্তম আদর্শ আছে, যখন সে নিজ সম্প্রদায়কে বলেছিল, তােমাদের সঙ্গে এবং তােমরা আল্লাহ। ছাড়া যাদের উপাসনা করছ তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তােমাদের (আকীদা-বিশ্বাস), অস্বীকার করি। আমাদের ও তােমাদের মধ্যে চিরকালের জন্য শক্রতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়ে গেছে, যতক্ষণ না তােমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। তবে ইবরাহীম তার পিতাকে অবশ্যই বলেছিল, আমি আল্লাহর কাছে আপনার জন্য মাগফিরাতের দুআ করব, যদিও আমি আল্লাহর সামনে আপনার কোন উপকার করার এখতিয়ার রাখি না। ২ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করেছি, আপনারই দিকে আমরা রুজু হয়েছি এবং আপনারই কাছে আমাদেরকে, ফিরে যেতে হবে।
—আল মুম্‌তাহিনাহ্‌ - ৪

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন