প্রশ্নঃ ৭০২৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কিয়াম করা কি জায়েজ নাকি নাজায়েজ কুরআন সুন্নাহ মুতাবেক উওর টি দিবেন?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মবৃত্তান্ত বর্ণনা করা, তার প্রশংসা করা, ইত্যাদি খুবই সওয়াব ও পূণ্যের কাজ। এতে কোন সন্দেহ নেই। আর দরূদ পড়াও অনেক সওয়াবের কাজ।
কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির মিলাদ মাহফিল এবং তাতে বিশেষ মুহুর্তে বিশেষ পদ্ধতিতে দাঁড়ানো কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। সেই সাথে খাইরুল কুরুনেও এর কোন নজীর নেই। তাই এভাবে বিশেষ পদ্ধতির মিলাদ মাহফিল করা এবং তাতে দাঁড়িয়ে কিয়াম করা জায়েজ নয়।
একথা সর্বজন স্বীকৃত যে, মিলাদ-কিয়াম নবীজী, সাহাবা, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীনের কোনো আমল নয়; এটি অনেক পরের সৃষ্টি। একথা খোদ যারা মিলাদ-কিয়াম করে তারাও মানে।
যে সকল কুসংস্কারের ব্যাপারে শরীয়তে কোন প্রমাণ নেই; তার অন্যতম হল মিলাদ কিয়াম করা। কেননা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ প্রসঙ্গে কোন বক্তব্য, আমল বা সমর্থন পাওয়া যায় না।
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ
وَمَآ ءأتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا.(الحشر: 7)
অর্থঃ রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাক।
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرجُواللهَ وَالْيَومَ اْلاخِرَ وَ ذَكَرَ اللهَ كَثِيْرًا.(الأحزاب: 21)
অর্থঃ অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের জীবনের মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ ঐ ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও কিয়ামত দিবসে (মুক্তির) আশা করে। আর অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ.(بخاري و مسلم)
অর্থঃ যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভূক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।(বুখারী)
খোলাফায়ে রাশেদীন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অন্যান্য সাহাবীগণ মিলাদ মাহফিল করেননি। এমন কি তার দাওয়াতও দেননি, অথচ তারাই হচ্ছেন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পর সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত।
খুলাফায়ে রাশেদীনের মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ .(أبو داود)&
অর্থঃ তোমাদের জন্য আবশ্যক আমার ও আমার পরবর্তী হেদায়াত প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরা যেভাবে দাঁত দিয়ে কোন জিনিস দৃঢ়ভাবে কামড়ে ধরা হয়। আর শরীয়তে নিত্য নতুন জিনিস আবিস্কার করা হতে বেঁচে থাক। কেননা সকল নবসৃষ্ট বস্ত্তই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন