নামাযের নিষিদ্ধ সময়ে অন্যান্য ইবাদাত
প্রশ্নঃ ৪৭০৭৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাজের নিষিদ্ধ সময়গুলোতে কি অন্যান্য ইবাদত/জিকির করা যাবে না??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাজের নিষিদ্ধ সময় তিনটি। সূর্যোদয়ের সময়, ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়; যতক্ষণ না তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ে এবং সূর্য হলুদবর্ণ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই সময়গুলোতে শুধু নামাজ পড়া নিষেধ; অন্যান্য ইবাদত করা নিষেধ নয়। তাছাড়া হাদিস শরিফে দিবারাত্রি সব সময় কোরআন তেলাওয়াতকারীর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
لا حَسَدَ إلَّا في اثْنَتَيْنِ: رَجُلٌ عَلَّمَهُ اللَّهُ القُرْآنَ، فَهو يَتْلُوهُ آناءَ اللَّيْلِ، وآناءَ النَّهارِ، فَسَمِعَهُ جارٌ له، فقالَ: لَيْتَنِي أُوتِيتُ مِثْلَ ما أُوتِيَ فُلانٌ، فَعَمِلْتُ مِثْلَ ما يَعْمَلُ، ورَجُلٌ آتاهُ اللَّهُ مالًا فَهو يُهْلِكُهُ في الحَقِّ، فقالَ رَجُلٌ: لَيْتَنِي أُوتِيتُ مِثْلَ ما أُوتِيَ فُلانٌ، فَعَمِلْتُ مِثْلَ ما يَعْمَلُ
দু’ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারও সাথে ঈর্ষা করা যায় না। এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্ তা’আলা কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন এবং সে তা দিন-রাত তেলাওয়াত করে। আর তা শুনে তার প্রতিবেশী তাকে বলে, হায়! আমাকে যদি এমন জ্ঞান দেয়া হত, যেমন অমুককে দেয়া হয়েছে, তাহলে আমিও তার মত আমল করতাম। অন্য আর এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্ সম্পদ দান করেছেন এবং সে সম্পদ সত্য ও ন্যায়ের পথে খরচ করে। এ অবস্থা দেখে অন্য এক ব্যক্তি বলে, হায়! আমাকে যদি অমুক ব্যক্তির মত সম্পদ দেয়া হত, তাহলে সে যেমন ব্যয় করছে, আমিও তেমন ব্যয় করতাম। (বুখারী ৫০২৬)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন