و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককেই সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, পরীক্ষা করার জন্য যে, তারা দুনিয়াতে আসার পর আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলে কি না। ভালো, মন্দ, বিপদ, আপদ সর্বাবস্থায় আল্লাহর দ্বীনের ওপর অটল-অবিচল থাকে কি না।

কাউকে সুঠাম দেহ দিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে যে, সে তার সুস্বাস্থ্য আল্লাহর পথে কাজে লাগায় নাকি অবাধ্যতায়। আবার কাউকে শারীরীকভাবে দুর্বল করে পরীক্ষা করা হতে পারে যে, সে দুর্বল অবস্থায়ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে আল্লাহর ওপর ভরসা করে নাকি হতাশ হয়ে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে।

কিন্তু মানুষ নফস ও শয়াতানের ধোঁকায় পড়ে উভয় অবস্থাতেই ভিন্ন আচরণ করে, নিয়ামত পেলে অহংকারী হয়, আর কিছু ছিনিয়ে নিলে আল্লাহকে দোষারোপ করে।

বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কুরআনে এভাবে বলেছেন,

{ فَأَمَّا الْإِنْسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ (15) وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ } [الفجر: 15، 16]

অর্থাৎ, মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন।এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন তার রিযিক সংকুচিত করে, তখন সে বলে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে হীন করেছেন।’ [সুরা ফাজর : 15-16]

সুতরাং একজন বিপদে থাকলে আরও বিপদগ্রস্ত কাউকে দেখে শিক্ষা নিতে পারে যে, সে-ই শুধু বিপদগ্রস্ত নয়, আরও হাজারও মানুষকে তার চেয়েও কঠিন পরিস্থিতির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এর অর্থ এ-ই নয় যে তার চেয়ে আপেক্ষিকভাবে বেশি বিপদগ্রস্ত মানুষকে তার শিক্ষার জন্যই কেবল সৃষ্টি করা হয়েছে। বরং প্রত্যেককেই আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

والله اعلم بالصواب