আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ফরজ নামাজের পর মাসনুন দুয়া

প্রশ্নঃ ৪০৬৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ফরজ নামাজের পরে দোয়া সম্পর্কে জানতে চাই।প্রশ্ন: ফরজ নামাজের পর ইমাম সাহেব যেই দোয়া করেন এই দোয়া করা কি জরুরী? অনেকেই দেখেছি বললেন, ফরজ নামাজের পর সুন্নাত যেই তসবী আছে ঐ গুলো পড়া বাধ্যতামূলক। আবার অনেকে দোয়া করার প্রতি বেশি জোর দিয়েছেন। এমতাবস্থায় আমাকে কোনটি করতে হবে দোয়া না তসবী?

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মৌলভীবাজার

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ফরয নামাযের পর দোয়া ও মুনাজাত করা মুস্তাহাব।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরয নামাযের পর নিয়মিত তিনবার ইস্তিগফার, তাসবীহ, তাহমীদ ও আরও কিছু নির্ধারিত দোয়া পড়তেন। এসব যিকির (আমলে) সাধারণত ব্যত্যয় ঘটতো না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু'সময়ে দোয়া কবূল হয় বলেছেন :
ক. রাতের শেষ প্রহরের দোয়া।
খ. ফরয নামাযের পরের দোয়া।

ফরজ নামাজের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত জিকির ও দোয়াগুলোকেই বেশি প্রাধান্য দিবেন।

নিয়মিত বাধ্যতামূলকভাবে উচ্চস্বরে সম্মিলিত মুনাজাত করা বিদআত।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الثَّقَفِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الدُّعَاءِ أَسْمَعُ قَالَ ‏"‏ جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ وَدُبُرَ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ الدُّعَاءُ فِيهِ أَفْضَلُ أَوْ أَرْجَى ‏"‏ ‏.‏ أَوْ نَحْوَ هَذَا ‏.

আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, বলা হল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! কোন সময়ের দু’আ বেশী (শোনা) গ্রহণযোগ্য হয়? তিনি বললেন, শেষ রাতের মাঝ ভাগের এবং ফরয নামায গুলোর পরবর্তী দু’আ।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৯৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي أَبُو أَسْمَاءَ الرَّحَبِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي ثَوْبَانُ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنْصَرِفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ اللَّهَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو عَمَّارٍ اسْمُهُ شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুক্ত করা গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামায হতে ফুরসত হতে চাইতেন তখন তিনবার ইস্তিগফার (মার্জনা প্রার্থনা) করতেন;
তারপর বলতেন, “হে আল্লাহ! তুমিই শান্তি আনায়নকারী। তোমার নিকট হতেই শান্তি আসে। হে পরাক্রম ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বারকাত ও প্রাচুর্যময়”।

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩০০

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন