প্রশ্নঃ ৩৫৬৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।মোহাম্মদ যাকারিয়া রিয়াদ,সৌদি আরব
প্রশ্নঃ আমি জানি চামাড়ার মোজা ব্যাতিত স্বাভাবিক কাপড়ের মোজার ওপর মাহাহ দূরস্ত নয়। আমার জানাটা সহিহ কিনা?
অন্যান্য মাজহাবে কাপড়ের মোজার ওপর নাকি মাসেহ দুরস্ত। এখন অন্যদের দেখে যদি আমাদের বাঙালীরাও যদি বা আমাদের হানাফি মাজহাব অনুযায়ী আমাল করনেওয়ালা ব্যক্তিরা কাপড়ের মোজার উপর মাসাহ শুরু করে তাদের ওজু কি হবে? এমন ব্যক্তি যদি ইমামতি করে আমার জন্য কি তার এক্তেদা সহিহ হবে? বিনা ওজু অবস্থায় মোজা পরিধান করে ওজুর সময় মাসাহ করছে এতে কি তার ওজু হচ্ছে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. চামড়া, পশম, কাতান প্রভৃতির তৈরি পায়ের এমন মোটা মোজা যা অন্তত পায়ের টাখনু গিরা ঢাকা হবে এবং বাধা ছাড়াই পায়ের উপর খাড়া থাকতে পারে এমন হবে, যা পায়ে দিয়ে অন্তত তিন মাইল উপর্যপুরি হাঁটা যাবে, তাতে ফাটবে না এবং যা ভেদ করে পানি ভিতরে ঢুকবে না এবং যার বাহির থেকে পায়ের চামড়া দেখা যাবে না - এমন মোটা মোজার উপর মাসাহ করা জায়েয।
২. মোজা পরিধানের সময় পূর্ণ ওজু থাকতে হবে অথবা ওযু না থাকলে পা ধুয়ে মোজা পরিধান করবে। অতঃপর ওযু ভঙ্গের নতুন কোনো কারণ পাওয়া যাওয়ার আগেই অজু করে নিল, এরপর এ মোজার উপর মাসেহ করা যাবে।
৩. হানাফী মাযহাব মতে কাপড়ের তৈরি সাধারন পাতলা মোজার উপর মাসাহ করা জায়েজ নয় বিধায় কোন হানাফী মাযহাবের অনুসারী এমন মোজার উপর মাসাহ করে নামাজ পড়ালে তার পিছনে অন্যান্য হানাফিদের ইকতিদা সহীহ হবে না।
ولا يجوز المسح على الجورب الرقيق من غزل أو شعر بلا خلاف، ولو كان ثخينا يمشي معه فرسخا فصاعدا.... فعلى الخلاف.
البحر الرائق ج٢ ص١٩٢
ফতহুল ক্বদী ১:১৩০
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন