প্রশ্নঃ ৩৫২১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম। গায়রে মাহরাম মহিলাদের সাথে কথা বলার হুকুম কী?? একজন আলেমে দ্বীনের এক বয়ানে শুনেছি প্রয়োজন এর সময় নাকি কথা বলা যাবে। কিন্তু তিনি তার বয়ানে প্রয়োজন বলতে কী ধরনের প্রয়োজনে কথা বলা যাবে সেটা উল্লেখ করেন নি। এখন আমার জনার বিষয় হচ্ছে কোন কোন অবস্থা গুলো কে শরীয়তে প্রয়োজন বলে গন্য করা হবে।
বিঃদ্রঃ বর্তমান অধিকাংশ মহিলারাই সতর ডেকে রাখলে ও চেহারা খুলে রাখে, সে ক্ষেত্রে এমন মহিলার সাথে কথা বলা অবস্থায় তার চেহারার দিকে তাকানো যাবে কী??
+8801765334363
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. প্রয়োজনে পরপুরুষের সাথে পর্দার আড়ালে থেকে টুকটাক দরকারী কথা বলা নিষেধ নয়। তবে এক্ষেত্রেও কোমলতা, নম্রতা পরিহার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রয়োজন বলতে যা উপেক্ষা করা মুশকিল। যেমনঃ কোন মাসআলা জিজ্ঞেস করা যদি জিজ্ঞেস করার মত মাহরাম কেউ না থাকে। জরুরী কেনাকাটা করা যদি কেনাকাটার মত মাহরাম কেউ না থাকে।
শরীয়ত সম্মত পন্থায় উপার্জন করা যদি জীবিকা উপার্জনে সক্ষম কোন মাহরাম না থাকে। ইত্যাদি প্রয়োজনে কর্কশ কন্ঠে পর পুরুষের সাথে টুকটাক কথা বলার অবকাশ রয়েছে।
ফিতনার সময় মহিলাদের চেহারা খুলে রাখার সুযোগ নেই।
কোন মহিলা চেহারা উম্মুক্ত রাখলে তার দিকে তাকিয়ে কথা বলার অবকাশ নেই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাচাতো ভাই ফজল ইবনে আব্বাসের চেহারা বারবার ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন, যখন তিনি একজন যুবতী নারীর দিকে তাকাচ্ছিলেন।
فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِٱلۡقَوۡلِ فَيَطۡمَعَ ٱلَّذِي فِي قَلۡبِهِۦ مَرَضٞ وَقُلۡنَ قَوۡلاً مَّعۡرُوفاً
সূরা আহযাব ৩২
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ قُل لِّأَزۡوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يُعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُوراً رَّحِيماً
সূরা আহযাব ৫৯
أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ : أَرْدَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ يَوْمَ النَّحْرِ خَلْفَهُ عَلَى عَجُزِ رَاحِلَتِهِ، وَكَانَ الْفَضْلُ رَجُلًا وَضِيئًا، فَوَقَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ يُفْتِيهِمْ، وَأَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ وَضِيئَةٌ ، تَسْتَفْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَطَفِقَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا، وَأَعْجَبَهُ حُسْنُهَا، فَالْتَفَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا، فَأَخْلَفَ بِيَدِهِ ، فَأَخَذَ بِذَقَنِ الْفَضْلِ، فَعَدَلَ وَجْهَهُ عَنِ النَّظَرِ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ فِي الْحَجِّ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا، لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى الرَّاحِلَةِ، فَهَلْ يَقْضِي عَنْهُ أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ ؟ قَالَ : " نَعَمْ ".
বোখারী ৬২২৮
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন