ঘোড়ার গোশত খাওয়ার বিধান
প্রশ্নঃ ২৬৭১৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ঘোড়া মাংস খাওয়া কী হারাম ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ঘোড়ার গোশত খাওয়া জায়েজ আছে। কিন্তু গণহারে ঘোড়ার গোশত খেলে জিহাদের সময় তা দ্বারা খেদমত নিতে সমস্যা হতে পারে। তাই ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ।
الفتاوى الهندية (5/ 290):
" يكره لحم الخيل في قول أبي حنيفة رحمه الله تعالى، خلافاً لصاحبيه، واختلف المشايخ في تفسير الكراهة، والصحيح أنه أراد بها التحريم، ولبنه كلحمه، كذا في فتاوى قاضي خان. وقال الشيخ الإمام السرخسي: ما قاله أبو حنيفة رحمه الله تعالى أحوط، وما قالا أوسع، كذا في السراجية
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ২৭৯৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ফিকহের কিতাবে ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরূহ বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঘোড়া জিহাদের কাজে ব্যবহার হয়। তাই সাধারণভাবে খাওয়া শুরু করলে জিহাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। বর্তমানে জিহাদে ঘোড়ার ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। বিশেষ করে আমাদের দেশে তো নেই-ই। তাহলে ঘোড়ার গোশত খাওয়া বর্তমানে জায়েয হবে কি? এ ব্যাপারে একজন মুফতী সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ঘোড়া সম্মানিত হওয়ার কারণে তা খাওয়া মাকরুহ। সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে যদিও ব্যাপকভাবে ঘোড়ার ব্যবহার হয় না, কিন্তু তা একেবারে বন্ধও হয়ে যায়নি। তাই পুলিশ কেন্দ্রগুলোতে ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং নিয়মিত তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
তাছাড়া হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত খালিদ ইবনে ওলীদ রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ার গোশত নিষেধ করেছেন। (সুনানে নাসাঈ ৮/২০৬; সুনানে আবু দাউদ ২/৫৩১)
নিষিদ্ধতার মূল সূত্র হচ্ছে উক্ত হাদীস। আর জিহাদের কাজে ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি একটি প্রাসঙ্গিক দলিলমাত্র। অতএব জিহাদের কাজে ঘোড়ার ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও তা খাওয়া উপরোক্ত হাদীসের কারণে মাকরূহ তানযীহি থাকবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন