যাদেরকে কবর দেওয়া হয় না, তাদের শাস্তি কিভাবে দেওয়া হবে?
প্রশ্নঃ ২৬০২৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুর্দাকে যখন কবরে রাখা হয় দুইজন ফেরেশ্তা প্রশ্ন করেন।নেককারের জন্য কবর প্রশস্ত হয়ে যায়।জান্নাতের টুকরা হয়ে যায় বিভিন্ন আথামের কথা বলা হয়েছে।বদকার হলে কবর সংকীর্ণ হয়ে যায় জাহান্নমের টুকরা হয়ে যায় কবরে সাপ নিযুক্ত করা হয় ইত্যাদি। প্রশ্ন হলো যাদেরকে যে কোনো কারণে কবরস্থ করা হয়নি তাদের কবরের প্রশ্ন শান্তি অশান্তি কবর প্রশস্ত সংকীর্ণ ইত্যাদি কাজগুলো কিভাবে করা হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আসলে কবরের সুখ বা শাস্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অদৃশ্যের বিষয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান কিংবা যুক্তি দিয়ে পরিপূর্ণভাবে তা বোধগম্য করা প্রায় অসম্ভব। অদৃশ্যের বিষয়ে ঈমান আনা একজন মুমিনের জন্য আবশ্যক। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ
‘মুত্তাকি তারাই যারা অদৃশ্যের বিষয়গুলোতে ঈমান আনে, পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে।’ (সূরা বাকারা ০৩)
আর কবরের জীবন মানে মূলত বারযাখী জীবন। অর্থাৎ দুনিয়া এবং আখেরাতের মধ্যবর্তী একটি অন্তর্বর্তীকালীন জীবন। মারা যাওয়ার পর মানুষ কবরস্থ হোক কিংবা না হোক সঙ্গে সঙ্গে সে বারযাখী জীবনে প্রবেশ করে। কেয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত সে সেখানেই অবস্থান করবে। যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَمِن وَرَائِهِم بَرْزَخٌ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ
‘মৃত্যুর পর তাদের সামনে রয়েছে বারযাখ কেয়ামত পর্যন্ত তথা পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।’ (সূরা মুমিনূন ১০০)
সুতরাং পুড়িয়ে দেওয়া হোক পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হোক কিংবা কবরস্থ করা হোক একজন মানুষ সর্বাবস্থায় বারযাখী জীবনে পদার্পণ করতেই হবে। সর্বাবস্থায় তার আত্মা ওই শাস্তিই ভোগ করবে , যা কবরে ভোগ করার কথা ছিল।
#শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন