প্রশ্নঃ ২৪৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের এলাকার এক কৃষক থেকে ২০০/- টাকা দরে ৫০ মণ পাইজম ধান ক্রয় করেছি। চুক্তিটি এভাবে হয়েছে যে, আমি তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি প্রতি ছয়মাস পর পর ৫ মণ করে ধান দিবেন। ৫ বছরে সম্পূর্ণ ধান পরিশোধ করবেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম কিস্তি দেওয়ার সময় ৩ মণ ধান দিতে চাচ্ছেন এবং বলছেন, ক্ষেতে ধান কম হয়েছে তাই ৩ মণ ধান দিবেন। আর ২ মণ ধানের (বর্তমান বাজার মূল্য হিসেবে) মূল্য দিয়ে দিবেন। এখন আমার জন্য ঐ দুই মণ ধানের মূল্য নেওয়া জায়েয হবে কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য ধানের মূল্য নেওয়া জায়েয হবে না। বরং তার থেকে ধানই নিতে হবে। তার কাছে না থাকলে বাজার থেকে খরিদ করেও দিতে পারে।
প্রসিদ্ধ সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যদি কেউ আগাম খরিদ চুক্তিতে কোনো পণ্য ক্রয় করে তাহলে সে যেন ক্রয়কৃত পণ্যের পরিবর্তে অন্য কোনো বস্ত্ত গ্রহণ না করে।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৪৬৮
বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, যদি আগাম চুক্তিতে কোনো বস্ত্ত ক্রয় কর তাহলে ক্রয়কৃত বস্ত্তটি গ্রহণ কর। অথবা (ঐ বস্ত্ত দিতে সক্ষম না হলে) যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলে তা নিয়ে নাও।-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮/১৪
প্রকাশ থাকে যে, প্রশ্নোক্ত লেনদেনে এক মণ ধানের মূল্য ২০০/- টাকা ধরা হয়েছে। এটি বাজার মূল্য থেকে অনেক কম (এমনকি কিস্তির ক্ষেত্রেও), অথচ শরীয়তে বাজারমূল্য থেকে বেশি তারতম্য করা নিষেধ। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের চুক্তি করতে হলে এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন