আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নারীর হজের প্রথম শর্ত হলো মাহরাম

প্রশ্নঃ ২৪৩৫৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমরা জানি মহিলাদের ক্ষেত্রে মাহরাম নিয়ে হজ্জের সফরে যেতে হয়। বিধবা কোন মহিলা যেহেতু তার স্বামী জীবিত নাই সে কীভাবে হজ্জ বা উমরা পালন করবে?

৪ নভেম্বর, ২০২২
বগুড়া ৫৮০০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মহিলাদের হজ ফরজ হওয়ার জন্য অন্য অন্য শর্তের সাথে মাহরাম থাকাও শর্ত।
মাহরাম ছাড়া নারীর জন্য হজ পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। চাই সে যত সম্পদশালীই হোক না কেন।
নারীর জন্য প্রথম মাহরাম হলো- স্বামী। অতঃপর যাদের সঙ্গে ইসলামি বিধান মোতাবেক দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ। এবং যাদের সঙ্গে বিবাহ হওয়া হারাম। ইসলামের পরিভাষায় তারাই নারীর জন্য মাহরাম। যেমন বাবা, চাচা, মামা, ভাই, ছেলে, নাতী, শশুর, মেয়ের জামাই। এ সব লোকদের সঙ্গে সামর্থবান নারীরা হজে গমন করতে পারবে।
কোনো নারীর ওপর যদি হজ ফরজ হয় এবং স্বামী ছাড়াও তাকে নিয়ে হজের যাওয়ার মতো মাহরাম থাকে। আর স্বামী যদি তার স্ত্রীকে হজে যাওয়ার অনুমতি না দেয়।তারপরও উপরোক্ত মাহরামের সাথে হজে যেতে পারবে।
হাদিসে এসেছে-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর অবাধ্য হয়ে কোনো মানুষের আনুগত্য চলবে না। আনুগত্য তো কেবল ভালো কাজের জন্য। (বুখারি ও মুসলিম)

সুতরাং মাহরাম থাকলে নারীর হজে যাওয়ার জন্য স্বামী অনুমতি না দিলেও হজ আদায় করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে স্বামী অনুমতি ছাড়াই নারী হজে যেতে পারবে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন