চুলের সুন্নত
প্রশ্নঃ ২৪০৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমার প্রশ্ন হলো আমরা জানি যে মাথার চুল তিন ভাবে রাখা যায় এক বাবরী চুল দুই হলক তিন চুল খাটো করে রাখা
কিন্তু সুন্নাত হলো বাবরী তবে হলক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমর্থন করেছেন
কিন্তু আমরা অনেকেই বাড়াবাড়ি করি যে হলক সুন্নাত বাবরী ব্যপারে জোর দেয় না
প্রকৃত সুন্নাত কোনটা হলক নাকি বাবরী
হাদীসের আলোকে উত্তর দিবেন আশা করি
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পুরুষদের জন্য বাবরী চুল রাখা সুন্নাত। কেননা, রাসূলুুল্লাহ (সা.) এর সাধারণ অভ্যাস ছিল বাবরী চুল রাখা। তা তিন পদ্ধতিতে হতে পারে। এক. উভয় কাঁধ বরাবর। দুই. ঘাড়ের মাঝামাঝি। তিন. উভয় কানের লতি পর্যন্ত। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৮৩-৪১৮৭)
রাসূলুুল্লাহ (সা.) এহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথা মুণ্ডাতেন। এছাড়া তিনি কখনো মাথা মুণ্ডাননি। এ সময় তিনি মাথা মুণ্ডানোকে চুল ছোট করে রাখার উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। এজন্য ইমাম তাহতাবী (রহ:) বলেন, মাথা ন্যাড়া করাও সুন্নাত । আর কিছু অংশ মুণ্ডানো ও কিছু রেখে দেয়া নিষেধ। মুণ্ডাতে ইচ্ছে না করলে চুল ছোট রাখা যেতে পারে।
আলেমগণ তিন তরিকায় বাবরী রাখাকে সুন্নাত আর মাথার চুল ছোট করে রাখা বা মুণ্ডানোকে জায়েয বলেন। এছাড়া সামনে বা পেছনে লম্বা রাখা অথবা ডানপাশে বা বামপাশে ছোট-বড় করে রাখাকে জায়েয মনে করেন না। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হল, চুলের যে কাটিং ভিন্ন কোন জাতি সত্তার অনুকরণে হবে, তাই নাজায়েযের মধ্যে শামিল হবে। (মাহমুদিয়া – ২৭/৪৬০, মিশকাত- ৩৮১, ২৩২, ৩৮০)
মেয়েদের জন্য চুল মুণ্ডন করা বা কেটে ছেলেদের মতো করে ফেলা নিষেধ। আবার এতো বড় রাখা উচিত নয় যে, গোছলের সময় পানি পৌঁছানো কষ্টকর হয়। বরং পিঠ বা কোমর পর্যন্ত রাখা ভালো। সেমতে কোমরের নিচের অংশ কেটে ফেলা জায়েয হবে। অবশ্য না কাটলেও কোনো সমস্যা নেই। (তিরমিজি শরিফ ১/১৮২, মুসলিম শরিফ ১/১৪৮
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন: শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন