আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২২০৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সিঙ্গাপুর হানাফী মাজহাবের আসরের নামাজ দেখায় ৫:২৪ PM আর শাফেয়ি মাযহাবের নামাজ দেখায় ৪:১৬ PM.আমরা জানি আসরের নামাজের ৫/১০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাজ পড়া যায়। এখন আমার প্রশ্ন হলো যোহর নামাজের শেষ সময়টা আমরা কোন সময় কে বেছে নিবো? ৪:১৬ PM নাকি ৫:২৪ PM আর দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো ওযু অবস্থায় মোজা পড়লে পরবর্তী ওযুর সময় মোজার উপর দিয়ে মাছেহ করলে ওযু সহি হবে কিনা?

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





আপনি যদি হানাফি মাযহাবের অনুসারী হয়ে থাকেন, তাহলে হানাফি মাযহাবের সময়টাই অনুসরণ করবেন।
দ্বিতীয়ত মোজার উপর মাসাজ বৈধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। উক্ত শর্তসমূহ পাওয়া গেলে মাসাহ করা যাবে।

মোজার উপর মাসাহ বৈধ হবার জন্য মোজার মাঝে কয়েকটি বিষয় থাকা জরুরী। যথা-



মোজাটি এতটুকু মোটা হতে হবে যে, এর মাঝে পানি পড়লে তা পায়ে পৌঁছে না।



উক্ত মোজা এতটুকুই মোটা যে, মোজাকে কোন কিছু দিয়ে বাঁধা ছাড়াই শুধু মোজা পা দিয়ে চার মাইলের মত হাটা যাবে, কিন্তু মোজা ছিড়বে না



মোজার এতটুকু বড় হতে হবে যে, টাখনুসহ ঢাকা থাকতে হবে।

সুতরাং পরিস্কার হয়ে গেল যে, আমাদের দেশের প্রচলিত কাপড়ের পাতলা মোজার উপর মাসাহ করা কিছুতেই জায়েজ নয়।

পবিত্র অবস্থায় মোজা পরিধান করার পর মুকিম হলে একদিন এক রাত পর্যন্ত আর মুসাফির হলে তিনদিন তিন রাত পর্যন্ত উক্ত মোজার উপর মাসাহ করতে পারবে। এর চেয়ে বেশি পারবে না।

عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ، وَلِلْمُقِيمِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ»، (سنن ابى داود، رقم الحديث-157)

عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ، وَالنَّعْلَيْنِ (سنن ابى داود، رقم الحديث-159)

ولا يجوز المسح على الجوربين عند أبي حنيفة إلا أن يكونا مجلدين أو منعلين وقالا يجوز إذا كانا ثخينين لا يشفان “(هداية، كتاب الطهارة، باب المسح على الخفين-1/61)

وفى البدائع- وَأَمَّا الْمَسْحُ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ، فَإِنْ كَانَا مُجَلَّدَيْنِ، أَوْ مُنَعَّلَيْنِ، يُجْزِيهِ بِلَا خِلَافٍ عِنْدَ أَصْحَابِنَا وَإِنْ لَمْ يَكُونَا مُجَلَّدَيْنِ، وَلَا مُنَعَّلَيْنِ، فَإِنْ كَانَا رَقِيقَيْنِ يَشِفَّانِ الْمَاءَ، لَا يَجُوزُ الْمَسْحُ عَلَيْهِمَا بِالْإِجْمَاعِ، وَإِنْ كَانَا ثَخِينَيْنِ لَا يَجُوزُ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَعِنْدَ أَبِي يُوسُفَ، وَمُحَمَّدٍ يَجُوزُ.(بدائع الصنائع-1/101)

وفى الفقه الاسلامى وادلته- يمكن المشي في الجورب إذا كان ثخيناً، كجوارب الصوف اليوم. وبه تبين أن المفتى به عند الحنفية: جواز المسح على الجوربين الثخينين، بحيث يمشي عليهما فرسخاً فأكثر، ويثبت على الساق بنفسه، ولا يرى ما تحته ولا يشف. واشترط المالكية كأبي حنيفة: أن يكون الجوربان مجلّدين ظاهرهما وباطنهما، حتى يمكن المشي فيهما عادة، فيصيران مثل الخف. وهو محمل أحاديث المسح على الجوربين. (الفقه الاسلامى وادلته-1/344

والله اعلم بالصواب

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন