আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২২০৩০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত মুফতি সাহেবের কাছে একটি প্রশ্ন, অল্প কিছু সঞ্চয়ের জন্য সরকারের সুদ মুক্ত প্রাইজবন্ড নিয়ে রাখা যাবে কিনা?

৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
চট্টগ্রাম

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




সম্মানিত প্রশ্নকারী!
বন্ড কেনা জায়েজ নাই। যদিও সেটা সুদমুক্ত নাম দেওযা হোক বাস্তবে তার অনুকুলে সুদ দেওয়া হয়। কেননা, বন্ডের বাস্তবতা হলো তা হচ্ছে, জনগণ কর্তৃক সরকারকে দেওয়া “ঋণের সিকিউরিটি লেটার বা নিশ্চয়তাপত্র”। বন্ড কেনার অর্থই হলো সরকারকে ঋণ দেয়া। আর এর বিনিময়ে যে পুরুস্কার দেওয়া হয় সেটাই সুদ। এখানে এটা জরুরী নয় যে প্রত্যেক ঋণদাতাই নিশ্চিতভাবে এই সুদ লাভ করতে হবে। বরং প্রত্যেক ঋণদাতাই এর মাধ্যমে পুরস্কার লাভের যোগ্য হয়।কিন্তু সকলকে যেহেতু দেওয়া হবে না তাই সেখানে লটারির মাধ্যমে পুরস্কৃতদের নির্বাচন করা। আর এই পুরস্কার লাভের যোগ্যতাটাই রিবা বা সুদের জন্য যথেষ্ট। যদি পুরস্কার পদ্ধতি না থাকতো তাহলে কোনো মানুষই প্রাইজবন্ডের মাধ্যমে সঞ্চয়ের চিন্তা করতো না!! কাজেই এখানে সুদ নেই এই কথা বলার অবকাশ নাই।
শরিফে ইরশাদ হয়েছে كل قرض جر نفعاً فهو ربا -যে ঋণের বিনিময়ে লাভ আশা করা হয় তাই সুদ।

আর ফিকহের স্বতঃসিদ্ধ মূলনীতি হলো- العبرة في العقود للمعاني لا للمباني
অর্থাৎ, চুক্তি ও লেনদেরনের ক্ষেত্রে অর্থ ও মর্মের ধর্তব্য, শব্দ ও বর্ণের নয়।

সুতরাং পাওয়া বা না পাওায় ওপর সুদ বা হারাম নির্ভর নয়। বরং শরীয়তে বিধান আকদ বা চুক্তির শর্তের ওপরই আরোপিত হবে। তাই কেউ পুরস্কার না পেলেও সেটা সুদ হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হ্যাঁ পার্থক্য শুধু এতটুকুন , যে না পাবে তার সুদ গ্রহনের গুনাহ হবে না। তবে সূচনাতে যেই চুক্তি হয়েছে (বন্ডের মাধ্যমে পুরস্কার লাভের সুযোগ) সেটা আর হালাল হবে না।
والله اعلم بالصواب

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন