আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

সবকে লুকমা পড়লে জরিমানার বিধান

প্রশ্নঃ ১৯৮৮৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হযরত! আমি একটি মাদ্রাসার হেফজ খানার শিক্ষক এখন আমার জানার বিষয় হল, শবিনায় প্রতি লুকমায় দুই টাকা জরিমানা নেওয়া হয় ছাত্রদের থেকে। আর যে ব্যক্তি কোন এক পারা বিনা লুকমায় পড়তে পারে, তাকে প্রায় 80, 90 টাকার গ্লাস, বাটি বা এ জাতীয় কোনো কিছু দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়,, এটা শরীয়ত সম্মত কতটুকু? যদি জানাতেন খুবই উপকৃত হতাম।

২ জুলাই, ২০২৫
Satrujitpur

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ছাত্রদেরকে পড়ালেখায় মনোযোগী করার জন্য বা উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কৃত করা জায়েজ আছে।
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়াহ গ্রন্থে আছে
যদি ফিকাহর শিক্ষার্থী একজন আরেকজন কে বলে: আসো, আমরা মাসয়ালাগুলো পর্যালোচনা করি। যদি তুমি সঠিক জবাব দাও আমি ভুল করি তাহলে আমি তোমাকে এত এত দিব। আর যদি আমি সঠিক জবাব দেই তুমি ভুল কর তাহলে আমি তোমার থেকে কিছুই নিব না– এটা জায়েয হবে।
রদ্দুল মুহতার (৬/৪০৪)

আমাদের হানাফি মাযহাব মতে শাস্তিরূপে কারো উপর আর্থিক জরিমানা ধার্য করা নাজায়েয। কাজেই কেউ কোন গুনাহ করলে বা নিয়ম লঙ্গন করলে তার উপর আর্থিক জরিমানা ধরা যাবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
(لا يحل مال امرئ مسلم إلا بطيب نفس منه)
“কোন মুসলমানের সম্পদ তার আন্তরিক সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল নয়।” [ মুসনাদে আহমাদ: ২০৭১৪, মুসনাদে আবু ইয়ালা: ১৫৭০, সুনানে বায়হাক্বি: ১১৩২৫]

আল্লামা শামী রহ. (১২৫২হি.) বলেন,
والحاصل أن المذهب عدم التعزير بأخذ المال. اهـ

“মোটকথা: শাস্তিস্বরূপ মাল নেয়া বৈধ না হওয়াই মাযহাবের ফায়সালা।” [ রদ্দুল মুহতার: ৪/৬২]
সুতরাং শবিনায় লুকমা গেলে আর্থিক জরিমানা করা জায়েজ হবে না।

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন