আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৮৯০৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, السلام عليكم ورحمة الله وبركاتة মশা মারার জন্য ইলেক্ট্রিক ব্যাট ব্যবহার করা কি জায়েজ আছে ? জানালে খুবই উপকৃত হতাম।جزاكم الله خيرا

১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


আপনার প্রশ্নের উত্তরটি নিচে সংযুক্ত করা হলো।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

রেফারেন্স উত্তর :

প্রশ্নঃ ১৩৯০৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,শুনেছি আগুনে পুড়িয়ে ও পানিতে ডুবিয়ে কোন প্রানী কে মারা ইসলামে জায়েজ নাই, এটা কি হাদিস আছে।তাহলে মশার মারার ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা মারা জায়েজ হবে কিনা? যেহেতু এরোসল আজকাল ব্যয়বহুল।

১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
Narayanganj, Bangladesh

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ইলেকট্রিক ব্যাট ইত্যাদির মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মশা-মাছি মারা জায়েজ আছে।
হাদিসে এসেছে, আগুনের মাধ্যমে শাস্তি দিয়ে প্রাণী হত্যা করা হারাম। কিন্তু এ বৈদ্যুতিক মেশিন দ্বারা মশা মারা আর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা এক নয়। কারণ, বৈদ্যুতিক শককে আগুন বলা ঠিক নয়। প্রমাণ হল, এতে যদি এক টুকরো কাপড় বা কাগজ রাখা হয় তাতে আগুন লাগবে না। বরং এই যন্ত্রটি মশা-মাছির জীবনীশক্তিকে শুষে নেয়। সুতরাং এটা আগুন দিয়ে পোড়ানোর হুকুমের আওতায় আসবে না।

তবে যদি কখনও পরিস্থিতি এমন হয় যে, কোন কষ্টদায়ক প্রাণীকে আগুন ছাড়া মারার উপায় নাই তাহলে তাকে আগুন দিয়ে মারাও জায়েজ আছে। যেমন, হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
◼ আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
‏ أَنَّ نَمْلَةً قَرَصَتْ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَفِي أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَهْلَكْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ ‏‏
“কোন এক নবীকে একটি পিঁপড়া কামড়ায়। তখন তার নির্দেশে আগুন দ্বারা পুরো পিঁপড়ার বস্তিকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তখন আল্লাহ তার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন: ”তোমাকে তো মাত্র একটা পিঁপড়া কামড়েছিল, অথচ তুমি এমন একটা জাতীকে ধ্বংস করে দিলে- যারা (আমার) তাসবীহ পাঠ করতো!” (সহীহ বুখারী, কিতাবুল জিহাদ ওয়াস সায়র, হা/৩০১৯)
◼ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“‏ نَزَلَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ، فَأَمَرَ بِجَهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا، ثُمَّ أَمَرَ بِبَيْتِهَا فَأُحْرِقَ بِالنَّارِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ نَمْلَةً وَاحِدَةً ‏”‏‏
“কোন এক নাবী গাছের নীচে অবতরণ করেন। এরপর তাঁকে একটি পিঁপড়ায় কামড় দেয়। অত:পর তার নির্দেশক্রমে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র গাছের নীচ থেকে সরিয়ে নিয়ে পিপড়ার বাসা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল।

তখন আল্লাহ তাঁর প্রতি ওহী নাযিল করলেন, ‘তুমি একটি মাত্র পিপড়াকে (অপরাধী কে) কেন জ্বালালে না?’ (অর্থাৎ কেন তুমি অন্যান্য নিরপরাধ পিপীলিকাকে আগুন দ্বারা জ্বালালে?)
[ সহীহ বুখারী, হা/৩৩১৯ ]

এখান থেকে বুঝা যায়, যে প্রাণী মানুষকে কষ্ট দেয় তাকে শাস্তি দেয়া জায়েয রয়েছে এবং বিশেষ প্রয়োজনে আগুন দিয়ে মারাও জায়েয আছে-যদি তাকে অন্যভাবে হত্যা করা কঠিন হয়। অন্যথায় আগুন দিয়ে প্রাণী হত্যা করা হারাম।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন