প্রশ্নঃ ১৬৪৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
মালিক (রাহঃ) ইয়াযিদ ইবনে রুমান (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ লোকজন উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে রমযানে তেইশ রাক’আত তারাবীহ পড়িতেন- তিন রাক'আত বিতর এবং বিশ রাক'আত তারাবীহ।
—মুওয়াত্তা মালিক, ইফা হাদীস নং: ২৪৫
মুওয়াত্তা মালিক এ বর্ণিত এই হাদিসটি কি সহিহ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জি। হাদিসটি সহিহ।
তারাবির রাকাতসংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের মাসায়েল সেকশনে অসংখ্য প্রশ্নোত্তর পাবেন সেগুলো দেখে নিন। উদাহরণ হিসেবে একটি রেফারেন্স যুক্ত করা হলো।
# নিচের লিংকে দেওয়া ভিডিওটি দেখুন। https://www.youtube.com/watch?v=s_e3If3S318&t=141s
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৬২৭৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম।আমি একটি মাসায়েল জিজ্ঞেস করতে চাই।তারাবির নামাজ কি ২০ রাকাতের পরিবর্তে কি ৩০ বা ৪০ রাকাত পড়া যাবে?কিংবা ভুলে পড়ে ফেললে কি গুনা হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তারাবির নামাজ ২০ রাকাআত সুন্নত মুয়াক্কাদাহ। অতিরিক্ত পড়লে সেটি নফল নামায হিসেবে সাব্যস্ত হবে। গুনাহ হবে না।
তারাবীহের নামায ২০ রাকাআত। এই ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনদের ইজমা তথা ঐক্যমত রয়েছে।
ইমাম ইবনে আব্দুল বার র. লিখেছেন,
وهو الصحيح عن أبي بن كعب من غير خلاف من الصحابة
অর্থাৎ বিশ রাকাত তারাবীই হযরত উবাই ইবনে কাব রা. থেকে বিশুদ্ধরূপে প্রমাণিত। সাহাবীগণের এক্ষেত্রে কোন দ্বিমত ছিল না। (আল ইসতিযকার , ৫খ, ১৫৭পৃ)
ইমাম ইবনে কুদামা র. আল মুগনী গ্রন্থে বিশ রাকাতকে দলিল দ্বারা প্রমাণিত করে বলেছেন,
ما فعله عمر وأجمع عليه الصحابة في عصره أولى بالاتباع
অর্থাৎ উমর রা. যা করেছেন এবং তাঁর আমলে সাহাবীগণ যে বিষয়ে একমত হয়েছেন সেটাই অনুসরণের অধিক উপযুক্ত। (দ, ২খ, ৬০৪পৃ)
আল্লামা ইবনে তায়মিয়া র. বলেছেন,
انه قد ثبت أن أبى بن كعب كان يقوم بالناس عشرين ركعة فى قيام رمضان ويوتر بثلاث فرأى كثير من العلماء أن ذلك هو السنة لأنه أقامه بين المهاجرين والانصار ولم ينكره منكر
অর্থাৎ একথা প্রমাণিত যে, উবাই ইবনে কাব রা. রমযানে তারাবীতে লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত পড়তেন। এবং তিন রাকাত বেতের পড়তেন। তাই বহু আলেমের সিদ্ধান্ত এটাই সুন্নত। কেননা তিনি মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণের উপস্থিতিতেই তা আদায় করেছিলেন। কেউ তাতে আপত্র্তি করেননি। (মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৩খ, ১১২-১৩পৃ)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন