তারাবীহ এর হাদিয়া এবং কমিটির অপকৌশল!!
প্রশ্নঃ ১৪৭১৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১ হুজুর আমার একটা জানার বিষয় হচ্ছে আমাদের
মসজিদে রমজান মাসে তারাবির নামে হাদিয়া উঠিয়ে ইমাম সাহেব কে কিছু হাদিয়া দেয় আর বাকিটা মসজিদের কাজের জন্য রাখা হয় এটা কি জায়েয হবে? দয়া করে সটিক উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ
২ প্রশ্ন: আমাদের সমাজের আনেক মানুষ পীর সাহেবকে বলে পীর কেবলা। আবার কেউ বলে পীরে কামেল এগুলো কি বলা যাবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সাধারণ মুসল্লিদের কাছ থেকে যেই কাজের কথা বলে টাকা উঠাবে, সেই কাজেই টাকাগুলো ব্যয় করতে হবে।
মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন কিংবা কমিটি যখন মুসল্লিদের কাছ থেকে টাকার আহ্বান করলো, তখন মুসল্লীরা একটা নির্দিষ্ট নিয়ত করে টাকা প্রদান করল। যিনি টাকা গ্রহণ করলেন তিনি সকলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হলেন। প্রতিনিধি টাকা নিজের ইচ্ছেমত ব্যয় করার অধিকার রাখে না। বরং দাতাগণ যেই উদ্দেশ্যে দিয়েছেন সেই উদ্দেশ্যের জায়গাতেই ব্যয় করতে তিনি বাধ্য। সুতরাং মুসল্লিদের কাছ থেকে যে কথা বলে টাকা উঠানো হয়েছে সেখানেই টাকাগুলো ব্যয় করতে হবে।
উল্লেখ্য, রমাদান মাসে তারাবীহের নামে হাদিয়া উঠানোর এই প্রথা অবশ্যই বিলুপ্ত করতে হবে। এটি ইসলামের সাথে কিছুতেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সুন্দর পদ্ধতি হলো, ইমাম সাহেব মুসল্লিদেরকে আগ্রহ-উদ্দীপনা দিয়ে নসিহত করবেন। তারা যেন হাফেজ সাহেবদেরকে বিদায়ের সময় হাদিয়া তোহফা দিয়ে খুশি করে দেয়। তারাবীহের পারিশ্রমিক কিংবা বিনিময় জায়েজ নয়। গোপনে হাফেয সাহেবদেরকে ব্যক্তিগতভাবে সকলেই হাদিয়া তোহফাহ দেবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন