আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩৯৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার দুটো ছোট বাচ্চা, ঘড়ের প্রায় সব কাজ এই বাচ্চা দুটো নিয়ে সামলাতে হয়।তাই জোহরের নামাজ প্রায় সময় কাজা বা তিনটার পরে পড়তে হয়। এমতো অবস্থায় আমি কি সময় মতো চার রাকাত জোহরের ফরজ আদায় করলে নামাজটি হবে?

২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আল্লাহ তায়ালা আপনার সকল কাজ সহজ করে দিন।
আল্লাহ তায়ালা মুমিনের ওপর যেসকল আমল আবশ্যক করেছেন তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে সময় মতো নামাজ আদায় করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন, إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا ‘مَّوْقُوتًا ‘নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।’ (সূরা নিসা ১০৩)

দুনিয়ার সমস্ত কাজকর্মের মধ্যে আগে আমাকে নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করতে হবে। অযথা নামাজে বিলম্ব করা জায়েজ নাই। এটা মারাত্মক গুনাহের কাজ।

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি কিছুটা আগে কাজকর্ম শুরু করে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে জোহরের নামাজ আদায় করবেন। যদিও জোহরের নামাজে ৪ রাকাতই ফরজ। ওই চার রাকাত আদায় করলেও জোহর আদায় করেছেন বলে গণ্য হবেন। কিন্তু এভাবে নিয়মিত সুন্নত ছেড়ে দেওয়া জায়েজ নাই।

পাঁচ ওয়াক্তের সাথে যে জরুরি সুন্নত নামাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে নবী করিম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্তের সুন্নতে মুয়াক্কাদাহগুলো নিয়মিত আদায় করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা কেবল তার মৃত্যু। এ জন্যই দুনিয়ার সব সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়ি ও সকল পরহেজগার বান্দারা এসব সুন্নত নিয়মিত জীবনভর পড়েছেন। তবে কোনো কারণবশত মাঝে মধ্যে এসব সুন্নত ছুটে গেলে কাজা করতে হয় না। কঠিন কোনো গুনাহও হয় না। কিন্তু পড়ার মধ্যে যে ফজিলত রয়েছে কোনো বুদ্ধিমান মানুষ ইচ্ছা করে এসব ছাড়তে পারেন না। হাদিস শরিফে এমনও এসেছে, হাশরের দিন বান্দার ফরজ নামাজে কিছু ত্রুটি থাকলে তা অন্যান্য নামাজ থেকে পূরণ করা হবে। অতএব, ফরজ ছাড়াও সব সুন্নত ও যথাসম্ভব অধিক নফল নামাজ নিজের আমলনামায় রাখা প্রত্যেকেরই কর্তব্য।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন