প্রশ্নঃ ১২৪৮২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি যখন নবম শ্রেণিতে পড়ি এখজন শিক্ষক আমাকে পড়াত ২০০০ টাকার বিনিময় আমার মা বাবার সাথে চুক্তি করে কিন্তু ওই শিক্ষক আমার থেকে জোড় করে, নানা ধরনের কথা বলে যৌন হয়রানি করত। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বেশি নিত তবে শেষ এর তিন মাস আমি ওনাকে আর কোনো টাকা দেয়নি ওনার খারাপ আচরণ এর কারনে তবে উনি এখনো এই টাকা দাবি করে বলে দিতে নাহলে উনি দাবি রাখবে এটা সেটা,,, তবে উনি মা বাবার সাথে চুক্তি ২০০০ এর ই করেছিল,, এখন কি করনীয়?? আর উনাকে টাকা দিতে গেলে আবার উনার যৌন হয়রানি শিকার হতে হবে,, আর উনি কি এটি পাওনা হবে,,
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রথমত তিনি আপনার সাথে যে মন্দ আচরণ করেছে, তা ইসলাম ও মানবিক এমনকি দেশীয় আইনের দৃষ্টিতেও জঘন্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এদের ব্যাপারে কুরআন হাদিসে কঠিন শাস্তি বর্ণিত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত আপনাকে পড়ানোর বিনিময় ধার্য করা হয় ২০০০ টাকা। সুতরাং এর বেশি তিনি কোনভাবেই প্রাপ্য নয়। সে যে এক হাজার টাকা করে অতিরিক্ত নিয়েছে, সেটি ছিল চরম অন্যায়। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী তাকে সে টাকা আপনার কাছে ফেরত দিতে হবে। অন্যাথায় সে আপনার দাবির নিচে থাকবে। আপনি তাকে ক্ষমা না করলে, তাকে অবশ্যই আখেরাতে হিসেবের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে এবং আপনার পাওনা শোধ করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন বলেন,
{يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ } [النساء: 29]
অর্থাৎ, হে মুমিনগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভক্ষণ করো না; তবে তোমাদের পারস্পরিক সন্তুষ্টিতে যে ব্যবসা হয়, তার মাধ্যমে ভক্ষণ করতে পারবে।
আর সে যে এখনো টাকার দাবি করতেছে, মূলত সে কোন টাকার হকদার না। সুতরাং আপনি তাকে কোন টাকা দিবেন না। বরঞ্চ আপনিই তার কাছে পাওনা, যেমনটি পূর্বে উল্লেখ করেছি। এমনিভাবে তার কাছে গেলে সে যৌন হয়রানি করার সম্ভাবনা প্রবল, এমন পরিস্থিতে তো তার থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। এবং আপনি চাইলে তার ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাযুত তাফসির, মারকাযুল বুহুসিল ইসলামিয়া, বাড্ডা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন