লাভের টাকা অন্য কাউকে দান করার নিয়তে প্রচলিত সুদী ব্যাংকে সঞ্চয়ী বা মেয়াদী হিসাব খোলা জায়েয হবে কি?
প্রশ্নঃ ১২০৮১৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, লাভের টাকা অন্য কাউকে দান করার নিয়তে ব্যাংকে টাকা রেখে লাভ নেওয়া জায়েজ হবে কিনা?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
একাউন্টের সুদের টাকা অন্য কাউকে দান করার নিয়তেও প্রচলিত সুদী ব্যাংকে সঞ্চয়ী বা মেয়াদী হিসাব খোলা জায়েয হবে না। কেননা সুদী ব্যাংকে এ ধরনের একাউন্ট খুলতে হলে সুদী চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হয়। আর সুদী চুক্তি করা কবিরা গুনাহ। হাদীসে সুদদাতার প্রতিও লানত করা হয়েছে।
তাই যদি ব্যাংকে টাকা রাখতেই হয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় সুদবিহীন কারেন্ট একাউন্টে টাকা রাখা। সেটা সম্ভব না হলে আর সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা রাখার বিশেষ প্রয়োজন হলে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলোতে রেখে প্রাপ্ত মুনাফা গরীব-মিসকিনদের মাঝে বণ্টন করে দিতে হবে। এতে অন্তত সুদের চুক্তি করার গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
আর প্রাপ্ত মুনাফা গরীব-মিসকিনদের মাঝে বণ্টন করে দিতে হবে। কেননা আমাদের দেশে বর্তমানে শরীয়া মোতাবেক পরিচালিত হওয়ার দাবিদার ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগে যথাযথভাবে শরীয়তের নীতিমালা অনুসারণ করে না। তাই শরীয়তের এ সংক্রান্ত নীতিমালা যথাযথভাবে পালনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংকে ডিপিএস, এফডিআর বা অন্য কোনো সেভিং একাউন্টে টাকা রেখে অতিরিক্ত গ্রহণ করা যাবে না। হালাল-হারাম বেছে চলতে চায় এমন মানুষের জন্য এধরনের টাকা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকাই বাঞ্ছনীয়। মুনাফার নামে দেওয়া এ ধরনের টাকা সদকা করে দেওয়াই নিরাপদ।
بینک کے سیونگ اکاؤنٹ میں رقم رکھوانے پر بینک کی طرف سے جو منافع ملتا ہے وہ سود ہونے کی وجہ سے ناجائز اور حرام ہے، اس لیے بینک میں سیونگ اکاؤنٹ کھلوانا ہی ناجائز ہے اور اگر لاعلمی میں بنالیا ہو تو ایسے اکاؤنٹ کو فی الفور بند کروانا ضروری ہے۔اور جس طرح سودی رقم کا استعمال کرنا حرام ہے اسی طرح سودی رقم کو وصول کرنا بھی حرام ہے، نیز بینک کی طرف سے اکاؤنٹ میں یہ رقم آجانے کے باوجود آدمی اس سودی رقم کا مالک نہیں بنتا ہے ، چناں چہ کسی بھی صورت اس سودی رقم کا اکاؤنٹ سے نکلوانا اور وصول کرنا ہی جائز نہیں ہے۔البتہ اگر کسی شخص کو مسئلہ معلوم نہ تھا اور اس نے یہ رقم وصول کر لی ہو تو اس کے لیے یہ حکم ہے کہ پہلے تو وہ یہ کوشش کرے کے جہاں سے یہ سودی رقم لی ہے اسی کو واپس کردے، لیکن اگر باوجود کوشش کے اسی شخص یا ادارے کو واپس کرنا ممکن نہ ہو تو پھر کسی ضرورت مند مستحقِ زکاۃ غریب شخص کو یہ رقم ثواب کی نیت کے بغیر دے دے۔
نیز یہ ملحوظ رہے کہ اس نیت سے سود اور حرام رقم کمانا کہ اس کو خود استعمال نہیں کریں گے، بلکہ غریبوں کا تعاون اور مدد کریں گے، شرعاً جائز نہیں ہے، ایسے لوگ حرام کا ارتکاب کرکے خود تو گناہ گارہوتے ہیں اورغریبوں کادنیوی فائدہ کرتے ہیں، یہ بڑی نادانی ہے کہ انسان اپنا دینی نقصان کرکے دوسروں کابھلاکرے اور دوسروں کے دنیوی فائدے کے لیے اپنی آخرت بربادکرے۔
شرح النووی علی المسلم میں ہے :
"(لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه وقال هم سواء) هذا تصريح بتحريم كتابة المبايعة بين المترابيين والشهادة عليهما وفيه تحريم الإعانة على الباطل والله أعلم".
(کتاب البیوع ، باب الربا ج: 11 ص: 26 ط: دار إحياء التراث العربي)
فتاوی شامی میں ہے :
"والحاصل أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لا يحل له ويتصدق به بنية صاحبه".
(کتاب البیوع ، باب البيع الفاسد ج: 5 ص: 99 ط :سعید)
فتویٰ نمبر : 144505100075
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, হাদীস ও ফিকহ বিভাগ
মারকাযুশ শরীয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন