ঋণ করে হজ আদায় করা।
প্রশ্নঃ ১১৯৮৭৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, *বিষয়ঃ* হজ্ব *প্রশ্নঃ* হজ্ব ফরয হওয়ার শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আর্থিক সামর্থ্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায়, অনেকেই হজ্বে যাওয়ার জন্য ঋণ গ্রহণ করেন। শরীয়তের আলোকে ঋণ নিয়ে হজ্ব আদায় করার বিধান কী? কোন পরিস্থিতিতে এটি বৈধ হিসেবে গণ্য হবে এবং কোন ক্ষেত্রে তা মাকরূহ বা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অস্বচ্ছল অবস্থায় কেউ ঋণ করে হজ্ব আদায় করলেও তা ফরয হিসেবেই আদায় হবে। সুতরাং ঋণ করে হজ আদায় করা জায়েজ তা মাকরুহ হবে না এবং ঐ হজ্ব ফরজের নিয়ত করে আদায় করলে হজ্ব ফরয হিসেবেই আদায় হবে। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে হজ্ব করলে তা নফল গণ্য হবে। তবে ঐ হজ্বের এহরামের সময় আপনি যদি সুনির্দিষ্টভাবে নফল হজ্বের নিয়ত করে থাকেন তা নফল হিসেবেই আদায় হবে। ফরয হজ্ব আদায় হবে না। বরং পরবর্তীতে যখন নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে তখন ফরজ হিসেবে পুনরায় হজ আদায় করতে হবে।
-গুনইয়াতুন নাসিক ৩২; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪১; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৬
আল কাউসার
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, দারুল কুরআন আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা
মুহাম্মদপুর, ঢাকা
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন