আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১৭৪৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১১৪২৭ নাম্বার প্রশ্ন এর উওরে আপনি বলেছেন যে আমার ভাই এর সাথে দেখা করা জয়েয না।কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো আমার অই ভাই তো আমার মায়ের পেটে হইছে,আর আমার মার দুধ ও পান করছে তাও কি আমি ওকে দেখা দিতে পারবো না।দুধ ভাই এর সাথে যদি দেখা করা যায় তাহলে আমার ভাই ও তো আমার মার দুধ পান করছে।তাহলে আমি এখন কি করবো। দুধ ভাই হিসেবে কি দেখা দিতে পারবো।আর আমার মেয়ে কি আমার অই ভাই আর বাবার সাথে দেখা দিতে পারবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
Dhaka

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





প্রিয় প্রশ্নকারী! আমরা দুঃখিত যে, আপনার প্রশ্নে কিছুটা অস্পষ্টতা থাকায় আমরা সঠিক উত্তর দিতে পারিনি। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আপনি আবার আমাদের নক করেছেন। তা না হলে বিষয়টা বড়ই বিভ্রান্তিকর হয়ে থাকতো।আল্লাহ তায়ালা আমাদেরও মাফ করুন।

আসলে আপনার বর্ণনা থেকে আমরা বুঝেছিলাম আপনার ওই ভাই আপনার মায়ের গর্ভের নয় বরং আপনার (মায়ের নতুন স্বামীর) দ্বিতীয় পিতার আগের স্ত্রীর।

কিন্তু আপনার এখনকার বর্ণনায় বুঝা গেলো সে আপনার মায়ের গর্ভের সন্তান। শরিয়তের পরিভাষায় তাকে মা শরীক ভাই বা বৈপিত্রেয় ভাই বলে। আপন ভাইয়ের ন্যায় সেও আপনার এবং আপনার সন্তানের মাহরাম। তার সাথে দেখা সাক্ষাত করতে কোনো অসুবিধা নাই।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। আমিন।

অন্যদের বোঝার সুবিধার্থে আপনার পূর্বের প্রশ্নটিও সংযোজন করে দেওয়া হলো।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

রেফারেন্স উত্তর :

সৎ বাবার ছেলার কি মাহরাম?

প্রশ্নঃ ১১৪২৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ( ১) আমার মা আমার বাবার সংসার ছেরে পরে আর একটা বিবাহ করেছে।ওই ঘরে আমার একটা ভাই ও আছে।এখন আমার ওই বাবা আর ভাইয়ের সামনে কি আমার পর্দা ফরয।(২) আমার মেয়ের বয়স ২ বছর।ও আমাকে খুব বিরক্ত করে তাই ও আমার কাছে মার ও খায়।এতে কি আমার গুনাহ হবে।

২৭ জুলাই, ২০২৫
Dhaka

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১.ওই বাবার সাথে যদিও আপনি সাক্ষাত করতে পারবেন কিন্তু অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে চলবেন। তবে ওই ভাই আপনার মাহরাম নয়। তার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ নাই।

২. ধৈর্যের সাথে সন্তান লালনপালন করলে প্রতিদান হিসেবে আল্লাহ তায়ালা জান্নাত দান করবেন। কাজেই শিশুকে প্রহার নয় বরং মমতা দিয়ে লালনপালন করতে হবে।
ছোট্ট শিশুরা কিছুটা ত্যক্ত বিরক্ত ও জালাতন করবেই। এটা যিনি সহ্য করে পরম স্নেহে সন্তান লালনপালন করেন তিনিই হচ্ছেন মা'। এর একারণেই পরিনত বয়সে এসে সন্তান তখন পিতা মাতার জন্য দু'হাতে তুলে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করে।

অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যেসকল পিতামাতা ছোট্ট সময়ে সন্তানকে যথাযথ স্নেহ মমতা করেন না সন্তান বড় হলে ওই পিতামাতার প্রতি খুব একটা যত্নশীল থাকে না।

অযথা কিংবা খুটিনাটি বিষয়ে অন্যায়ভাবে সন্তানকে প্রহার করলে সেটাও জুলুম হিসেবে গন্য হবে। আর আল্লাহ তায়ালা আমাদের জুলুম করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বুঝার তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর