প্রশ্নঃ ১১৭৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
কোন আমল করে ঘুমালে ঘূমের মধ্যে কোনো খারাপ
সপনো আসে না ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ঘুমের সুন্নত এবং আদব রক্ষা করে ঘুমালে ইনশাআল্লাহ দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে রেহাই পাবেন। ঘুমের সুন্নত ও আদব সম্পর্কে জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৭৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ে ঘুমালেপ্রতিটি নিশ্বাসে নেকি লিখা হয় এই কথাটি কতটা সহি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আমরা যতটুকু অনুসন্ধান করেছি তন্মধ্যে উক্ত কথার নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি বরং এ প্রসঙ্গে সৌদি আরবে সাবেক গ্রান্ড মুফতি বিশ্ববিখ্যাত আলেম আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন বায রহ. বলেন,
إذا قرأت إحدى وعشرين مرة عند النوم حصل بها كذا وكذا، وإذا كتبت مائة وثلاثين مرة حصل بها كذا وكذا إلى غير ذلك كل هذه باطلة لا أساس لها، ولا صحة لها، بل هذا مما افتراه المفترون وكذبه الكذابون فلا يعول على ذلك ولا يلتفت إلى ذلك،
“কেউ যদি ঘুমের সময় ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ে তাহলে এই এই হবে, কেউ যদি তা ১৩০ বার লেখে তাহলে তার এই হবে এই হবে….এগুলো সব বাতিল ও ভিত্তিহীন কথা। মোটেও সহিহ নয়। এগুলো হল, মিথ্যারোপ কারীদের মিথ্যারোপ এবং মিথ্যুকদের মিথ্যাচার।
সুতরাং এ সমস্ত কথাবার্তার দিকে ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না।”
(উৎস: শাইখের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট )
তবে ঘুমের পূর্বে যে সকল আমল রয়েছে সেগুলো করলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা তাকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং অনেক সওয়াব অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। যেমন:
সুরা ইখলাস, নাস ও ফালাক পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া, আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা মুলক, সূরা কাফিরূন, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার, তারপর ঘুমের দুআ সমূহ পড়ার পর ঘুমানো।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রশ্নঃ ৯৭৫৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ঘুমানোর আগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ঘুমানোর আগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল দেওয়া হলো—
এক. ‘তিনকুল’ পড়ে ফুঁ দেওয়া
দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দেবে। তারপর দুই হাতের তালুর মাধ্যমে দেহের যতোটা অংশ সম্ভব— মাসেহ করবে। মাসেহ শুরু করবে— মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে (এভাবে ৩ বার করবে)। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
দুই. আয়াতুল কুরসি পড়া
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারারাত তার কাছে আসবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)
তিন. সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আ-মানার রাসুলু বিমা–) তেলাওয়াত করবে, এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০০৮)
চার. সুরা কাফিরুন পাঠ করা
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সুরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শিরক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী।’ (সহিহ তারগিব, হাদিস : ৬০২)
পাঁচ. ‘কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ’ পাঠ
একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) তার সাহাবাদের বললেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পড়তে অসমর্থ হবে?’ এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে করল। বলল, এই কাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে— হে আল্লাহর রাসুল!? তখন তিনি বললেন, ‘সুরা ইখলাস হলো- এক-তৃতীয়াংশ কোরআন। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)
ছয়. ডান হাত গালের নিচে রেখে দোয়া পড়া
আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন, তখন তার ডান হাত— তার গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দোয়াটি বলতেন—
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমু-তু ওয়া আহ্ইয়া
অর্থ : হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হব। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)
সাত. তাসবিহের আমল করা
আল্লাহর রাসুল (সা.) তার মেয়ে ও জামাতা ফতেমা (রা.) ও হযরত আলী (রা.)- কে বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু বলে দেবো না— যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে; তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৭০৫)
আট. সুরা মুলক পাঠ করা
আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরা মূলক) পাঠ করবে— এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন।’ ( তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯০)
মহান আল্লাহ আমাদের এই আমলগুলো করার তাওফিক দিন এবং আমাদের সর্বোত্তম সওয়াব ও প্রতিদান দিন। আমিন।
(সংগৃহিত)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৭৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ে ঘুমালে
প্রতিটি নিশ্বাসে নেকি লিখা হয়
এই কথাটি কতটা সহি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আমরা যতটুকু অনুসন্ধান করেছি তন্মধ্যে উক্ত কথার নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি বরং এ প্রসঙ্গে সৌদি আরবে সাবেক গ্রান্ড মুফতি বিশ্ববিখ্যাত আলেম আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন বায রহ. বলেন,
إذا قرأت إحدى وعشرين مرة عند النوم حصل بها كذا وكذا، وإذا كتبت مائة وثلاثين مرة حصل بها كذا وكذا إلى غير ذلك كل هذه باطلة لا أساس لها، ولا صحة لها، بل هذا مما افتراه المفترون وكذبه الكذابون فلا يعول على ذلك ولا يلتفت إلى ذلك،
“কেউ যদি ঘুমের সময় ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ে তাহলে এই এই হবে, কেউ যদি তা ১৩০ বার লেখে তাহলে তার এই হবে এই হবে….এগুলো সব বাতিল ও ভিত্তিহীন কথা। মোটেও সহিহ নয়। এগুলো হল, মিথ্যারোপ কারীদের মিথ্যারোপ এবং মিথ্যুকদের মিথ্যাচার।
সুতরাং এ সমস্ত কথাবার্তার দিকে ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না।”
(উৎস: শাইখের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট )
তবে ঘুমের পূর্বে যে সকল আমল রয়েছে সেগুলো করলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা তাকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং অনেক সওয়াব অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। যেমন:
সুরা ইখলাস, নাস ও ফালাক পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া, আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা মুলক, সূরা কাফিরূন, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার, তারপর ঘুমের দুআ সমূহ পড়ার পর ঘুমানো।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
ঘুমানোর আগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।
প্রশ্নঃ ৯৭৫৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ঘুমানোর আগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ঘুমানোর আগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল দেওয়া হলো—
এক. ‘তিনকুল’ পড়ে ফুঁ দেওয়া
দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দেবে। তারপর দুই হাতের তালুর মাধ্যমে দেহের যতোটা অংশ সম্ভব— মাসেহ করবে। মাসেহ শুরু করবে— মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে (এভাবে ৩ বার করবে)। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
দুই. আয়াতুল কুরসি পড়া
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারারাত তার কাছে আসবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)
তিন. সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আ-মানার রাসুলু বিমা–) তেলাওয়াত করবে, এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০০৮)
চার. সুরা কাফিরুন পাঠ করা
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সুরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শিরক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী।’ (সহিহ তারগিব, হাদিস : ৬০২)
পাঁচ. ‘কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ’ পাঠ
একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) তার সাহাবাদের বললেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পড়তে অসমর্থ হবে?’ এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে করল। বলল, এই কাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে— হে আল্লাহর রাসুল!? তখন তিনি বললেন, ‘সুরা ইখলাস হলো- এক-তৃতীয়াংশ কোরআন। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)
ছয়. ডান হাত গালের নিচে রেখে দোয়া পড়া
আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন, তখন তার ডান হাত— তার গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দোয়াটি বলতেন—
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমু-তু ওয়া আহ্ইয়া
অর্থ : হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হব। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)
সাত. তাসবিহের আমল করা
আল্লাহর রাসুল (সা.) তার মেয়ে ও জামাতা ফতেমা (রা.) ও হযরত আলী (রা.)- কে বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু বলে দেবো না— যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে; তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৭০৫)
আট. সুরা মুলক পাঠ করা
আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরা মূলক) পাঠ করবে— এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন।’ ( তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯০)
মহান আল্লাহ আমাদের এই আমলগুলো করার তাওফিক দিন এবং আমাদের সর্বোত্তম সওয়াব ও প্রতিদান দিন। আমিন।
(সংগৃহিত)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৯১০২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রাতে ঘুমানোর আগে ওযু করে ঘুমানোো অনেক ফজিলত ১. আমি ওজু করার পর ঘুমের আগের আমল করি, যেমন- আয়াতুল কুরসি পাঠ, তিন কুল পাঠ, সূরা বাকারাহ'র শেষ দূই আয়াত ইত্যাদি। কিন্তু এরপর প্রায়ই আবার পেশাব আসে বা বায়ু বের হয়। এ অবস্থায় আবার ওজু করে কি আবার রাতের আমল করতে হবে? নাকি শুধু ওজু করলেই হবে? ২. বিয়ের পর ঘুমের আগে স্বামী স্ত্রী সহবাস হয় জানি। তখন তো৷ ওজু করার ফজিলত পাবোনা। সেক্ষেত্রে কি বিছানায় যাওয়ার আগে ওজু করে নিলে আর আমলগুলো আগে করলে ফজিলত পাওয়া যাবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাতে ঘুমানোর পূর্বে অজু করে জিকির-আজকার তিলাওয়াত করার পর অজু চলে গেলে সম্ভব হলে পুনরায় অজু করে নেবে। এরপর ঘুমিয়ে পড়বে। রাতের জিকির-আজকার ও তিলাওয়াত পুণরায় করতে হবে না।
____
স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর পুনরায় সহবাস করতে কিংবা ঘুমাতে চাইলে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।
১. ফরজ গোসল করে নেয়া।
২. লজ্জাস্থান ধুয়ে অজু করে নেয়া।
৩. বিলকুল পানি স্পর্শ না করা।
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবরকম আমল করেছেন।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنَامُ وَهُوَ جُنُبٌ وَلاَ يَمَسُّ مَاءً .
‘আয়িশাহ্ রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো কখনো জুনুবী (নাপাক) অবস্থায় ঘুমিয়ে যেতেন, এমনকি পানি স্পর্শও করতেন না।
—জামে' আত-তিরমিজী, হাদীস নং ১১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيَنَامُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ قَالَ " نَعَمْ إِذَا تَوَضَّأَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ . وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ قَالُوا إِذَا أَرَادَ الْجُنُبُ أَنْ يَنَامَ تَوَضَّأَ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ .
‘উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে প্রশ্ন করলেন, আমদের কেউ কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে ওযূ করে নেবে।
টীকা : এ অনুচ্ছেদে ‘আম্মার, ‘আয়িশাহ্, জাবির, আবূ সা’ঈদ ও উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি সর্বাধিক উত্তম ও অধিকতর সহীহ্। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবা এবং তাবিঈ যেমন, সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ ও ইসহাক বলেন, নাপাক ব্যক্তি যদি ঘুমাতে চায় তবে ঘুমানোর আগে ওযূ করে নিবে।
—জামে' আত-তিরমিজী, হাদীস নং ১২০
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন