প্রশ্নঃ ১১৪২৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একজন মেয়ে । মাঝে মাঝে মনে হয় আমি রবের খুব কাছে চলে গিয়েছি ।আবার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি রব থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ।অনেক পাপ করে ফেলছি ।উদাস হয়ে যাচ্ছি দ্বিন এর ব্যাপারে ।আবার অনেক বেশি শয়তানের ওয়াসওয়াসা আসতেছে ।এমন সব চিন্তা আসছে যেগুলো আমি ভাবতে চাই না ।নজরের হেফাজত হচ্ছে না ।ইচ্ছা করে অন্তরটাকে পিষে মাটিতে পুতে রাখি।কি করবো আমি বুঝতে পারতেছিনা।একটা সমাধান দিন শায়েখ।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় বোন! আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন। সকল পেরেশানী ও হতাশা দূর করে দিন।
আপনি রুটিনমাফিক নিয়মিত নামাজ, রোজা, জিকির তেলাওয়াত ইত্যাদীতে আপনার সময়গুলো কাজে লাগতে চেষ্টা করুন। কোনো বিষয়েই অধিক ঝুঁকি নিবেন না। সাধ্যানুযায়ী নজর হেফাজতের চেষ্টা করুন। যখনই বদনজরের খেয়াল হবে সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার ভয় এবং জাহান্নামের ভয়াবহতা কল্পনা করবেন। অনর্থক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকুন। এই বিষয়ে আরো কিছু পরামর্শ পেতে নিচের রেফারেন্স উত্তরগুলো পড়ুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
বিষন্নতা থেকে বাঁচার উপায়
প্রশ্নঃ ৮৬৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত হুজুরের কাছে আমার প্রশ্ন টি হলবিষন্নতা থেকে বাঁচার উপায় কি? মাঝে মাঝে এমন মনে হয় যেন আত্মহত্যা করতে মন চায়। মন দিয়ে ইবাদাত করতে পারিনা এই সমস্যার কারণে। ইসলামিক কোন কিতাব থাকলেও বলতে পারেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এই ধরনের সমস্যায় এক সাহাবী নিপতিত হয়েছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে দোয়া শিখিয়েছেন।
ফজর ও মাগরিবের পর তিনবার তিনবার পড়ুন-
চিন্তা, পেরেশানি, ঋণ, অলসতা ও কাপুরুষতার দূরীকরন
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَ الْكَسَلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَ الْبُخْلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَ قَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজাজি ওয়াল কাসালি ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবুনি ওয়াল বুখুলি ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিত দিনি ওয়া কাহরির রিজাল।
অনুবাদ:
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা পেরেশানি থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতার ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের ক্ষোভ থেকে।
—সুনানু আবী দাঊদ ১৫৫৫
উদ্ধৃতি:
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রাসুল তাকে বললেন, আবু উমামা! ব্যাপার কী, নামাজের সময় ছাড়াও তোমাকে মসজিদে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে? আবু উমামা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অনেক ঋণ এবং দুনিয়ার চিন্তা আমাকে গ্রাস করে রেখেছে। তখন রাসুল (সা.) তাকে বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালেমা শিখিয়ে দেব, যেগুলো বললে আল্লাহ তোমার চিন্তাকে দূর করে দেবেন এবং তোমার ঋণগুলো আদায় করে দেবেন। তিনি বলেন, জি হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ! অবশ্যই বলুন, তখন রাসুল (সা.) তাকে উপর্যুক্ত দোয়াটি শিখিয়ে দেন এবং তা সকাল-সন্ধ্যায় পড়তে বলেন। আবু উমামা বলেন, আমি রাসুল (সা.) এর এ দোয়াটি পড়তে লাগলাম। ফলে আল্লাহ আমার চিন্তা দূর করে দিলেন এবং আমার ঋণগুলোও আদায় করে দিলেন।
—সুনানু আবী দাঊদ ১৫৫৫
বিশ্বে বহুল সমাদৃত একটি কিতাব "লা তাহযান" "হতাশ হবেন না" বাংলা ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে। রকমারি ডট কম থেকে অথবা বাংলাবাজার ইসলামী টাওয়ারে গিয়ে বইটি কিনতে পাবেন।
বইটি পড়ুন, ইনশাআল্লাহ উপকার হবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রশ্নঃ ১১২০৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহআল্লাহর ভয়ে কান্না করার অনেক ফযিলত আছে হাদিসে৷আমার মন নরম থাকলে আল্লাহর ভালোবাসায় কান্না আসে, তার দয়া ও তার দেয়া নিয়ামতের জন্য শুকরিয়া আদায় করে কান্না আসে, আল্লাহর সন্তুষ্টি চেয়ে কান্না আসে। কিন্তু ভয়ে কিছুতেই কান্না আসে না। আল্লাহর প্রতি ভয় অন্তরে কিভাবে জাগ্রত করতে পারি? এ জন্য আমল বা বই থাকলে তাও জানাবেন দয়া করে।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাদের এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন আশা এবং ভয় নিয়ে আল্লাহ তায়ালাকে ডাকে।
মুহাব্বত, ভয়, আশা, ভালোবাসা এইসব নিয়েই আল্লাহ তায়ালাকে ডাকতে হবে। এজন্য আল্লাহ তায়ালার আজাবের আয়াতগুলো সামনে রাখতে পারেন। তাহলে ইনশাআল্লাহ দিলে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হবে।
আপনি আপাতত মুফতি মুশতাকুন্নবী কাসেমী সাহেব হাফিজাহুল্লাহু এর বয়ানগুলো শোনতে পারেন। এবং তার লিখিত ইসলাহী বইগুলো পড়তে পারেন। আশা করছি ইনশাআল্লাহ জীবনের মোড় ঘুরে যাবে। দ্বিলে আল্লাহ তায়ালার মুহাব্বত, ভয়, আশা, ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। । তবে নারীদের প্রতি হযরতের পরামর্শ হলো তারা যেন পুরুষের বয়ান শোনার সময় মোবাইলের স্কিন ঢেকে রাখেন অথবা ঘুরিয়ে রাখেন। কেননা পুরুষের জন্য যেমনিভাবে পরনারীর চেহারা দেখা হারাম তেমনিভাবে নারীর জন্যও পরপুরুষের চেহারা দেখা হারাম।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন