প্রশ্নঃ ১০৮৭৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
সামী ইচছাকৃতভাবে আয় রোজগার না করলে কি তার সাথে দুরব্যবহার ও তাকে শিখখা দেয়ার জন্য তার সাথে দূরত্ব বজায় রাখা কি জায়েজ হবে, তার বাবার টাকা পয়সা আছে বলে সে কোন কাজ করতে চায়না, স্ত্রী সন্তানএর ছোটখাটো প্রয়োজনের জন্য সামীর মা বাবার কাছে স্ত্রী কে হাত পাততে হয়, যা সব সময় করা যায়না, এজন্য কি তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবেনা! তার নিজের খরচ সে কোন না কোন ভাবে বের করে নেয়, মাথায় ছাদ আর বাবা মার টাকায় ৩ বেলা খাবার ছাড়া সে কোন দায়িত্ব ই নেয়না, এ অবস্থায় তাকে সঠিক পথে আনার জন্য স্ত্রী যদি আলাদা হতে চায় বা নিজে চাকরি করতে চায় তাহলে কি জায়েজ হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফরজ ইবাদতের পর হালাল উপার্জন করা ফরজ। বাবার সম্পত্তির মালিকানা বাবার। ঐ ছেলের নয়। ছেলেকে এই কথাটি ভালোভাবে বোঝাতে হবে।
স্ত্রী বুদ্ধিমত্তার সাথে আদর সোহাগ এর মাধ্যমে স্বামীকে যে বিষয়টি মানাতে পারবে, রাগারাগি, দূরে সরে যাওয়া, স্বামীর অবাধ্য হওয়ার মাধ্যমে সেগুলো উদ্ধার করতে পারবে না।
এজন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর এবং দৈনিক ন্যূনতম দু'রাকা'আত সালাতুল হাজত পড়ে পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে এ বিষয়ে স্ত্রী দোয়া করতে থাকবে এবং নিকটবর্তী কোন আল্লাহ ওয়ালা মুত্তাকী আলিম এর মাধ্যমে স্বামীকে সু-পথে ফিরিয়ে আনার জন্য বোঝাতে চেষ্টা করবে। অনেক সময় নিজের কথায় কাজ হয় না। অন্যের মাধ্যমে বুঝালে বুঝ গ্রহণ করে থাকে।
স্বামীর পক্ষ থেকে খোরপোষ পাওয়া স্ত্রী ও সন্তানদের অধিকার। এই অধিকার অবশ্যই সুকৌশলে আদায় করে নেবে।
স্বামী যদি স্ত্রীকে বঞ্চিত করতেই থাকে, বাধ্য হলে স্ত্রী নিজের পর্দা পুশিদা, ঈমান-ইজ্জত হেফাজত করে শরীয়তের গণ্ডির মধ্যে থেকে হালাল উপার্জন করা নিষেধ হবে না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন