কোনো কারনে তাহাজ্জুদ ছুটে গেলে সুন্নত অনুযায়ী কী করনীয়?
প্রশ্নঃ ১০০৬৭৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোনো কারনে যদি তাহাজ্জুদ এর নামাজ ছুটে যায়,তাহলে সুন্নত অনুযায়ী আমার করনীয় কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তাহাজ্জুদ একটি নফল নামায, আর নফল নামাযের কাযা আদায় করা জরুরি নয়।
তবে উত্তম হলো, তাহাজ্জুদ নামাজ যদি কোন কারনে ছুটে যায় তাহলে ফজরের নামায ও যোহরের নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে তা পড়ে নেয়া।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের নামায যদি কোনও যন্ত্রণা বা অন্য কোনও কারণে ছুটে যেত, তবে দিনের বেলা বারো রাক'আত পড়ে নিতেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ৭৪৬)
এ হাদীছ দ্বারা নফল ইবাদতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার গুরুত্ব বোঝা যায়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তা রক্ষা করতেন এবং কোনও ওজরবশত ছুটে গেলে দিনের বেলা তা কাযা করে নিতেন, যেমনটা এ হাদীছে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি অন্যকেও উৎসাহিত করেছেন, যদি ওজরবশত কোন আমল ছুটে যায়। তবে যেন তার কাযা করে নেয়।
হযরত 'উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি তার রাতের ওযিফা বা তার অংশবিশেষ আদায় না করেই ঘুমিয়ে যায়, তারপর ফজরের নামায ও যোহরের নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে তা পড়ে নেয়, তার জন্য লিখে দেওয়া হয় (এ পরিমাণ ছাওয়াব) যেন সে তা রাতেই পড়েছে। (সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ৭৪৭)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, হাদীস ও ফিকহ বিভাগ
মারকাযুশ শরীয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন