আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২৯১০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা লক্ষ্য করে আসছি যে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং পল্লবী এলাকার প্রায় শরয়ী মসজিদে মকতবের রেকর্ড করা হচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, শিক্ষকগণ বিনিময় নিয়েই ছেলে-মেয়েদেরকে মসজিদে বসে ধর্মীয় শিক্ষা দিচ্ছেন। ছাত্র-ছাত্রীরা সবকের সময়ের ভিতর মসজিদের পাখা, বাতি ইত্যাদি জিনিসপত্রও ব্যবহার করছে। শোরগোল তো আছেই। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে মকতব চললেও স্বতন্ত্রভাবে মকতবের জন্য কোনো ঘর তৈরির ভাবনা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে নেই বললেই চলে। বলতে গেলে এভাবে মসজিদগুলো সাময়িকভাবে নয়; বরং এক একটা অনুমোদিত স্থায়ী মাদরাসায় পরিণত হয়েছে। অবশ্য মুসলমানদের ছেলেমেয়েকে ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাবোধ প্রত্যেকের ভিতর থাকা উচিত। সেটা কীভাবে কোথায় হবে সেটাও নিরুপণ করে নেওয়া উচিত। বর্ণিত বিষয় আমাদের জিজ্ঞাস্য, এভাবে বিনিময় নিয়ে মসজিদের ভিতর কিংবা বারান্দায় বসে ছেলেমেয়েদের পড়ানো বৈধ কি না? যদি বৈধ না হয় তবে বৈধতার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত জানালে উপকৃত হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মাসিক আলকাউসার
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
১৮২১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কোনো মহিলার জন্য তার দেবর বা ভাসুর কিংবা তার স্বামীর ভগ্নিপতি এবং অন্যান্য গাইরে মাহরাম আত্মীয়স্বজন যেমন স্বামীর মামা, খালু, ফুফা ইত্যাদি এদের সাথে পর্দার অন্তরালে থেকে বা ফোনের মাধ্যমে কথাবার্তা বলা কিংবা খোঁজখবর নেওয়া জায়েয হবে কি?

বা ঐ সকল লোকেরা ঐ মহিলার সাথে কথাবার্তা বলতে গেলে জায়েয হবে কি না? এমনিভাবে স্বামীর জন্য তার স্ত্রীর ঐ সকল আত্মীয়স্বজন যাদের সাথে পর্দা করা ফরয তাদের সাথে পর্দা করে বা ফোনের মাধ্যমে কথাবার্তা বলা বা খোঁজ-খবর নেওয়া জায়েয হবে কি? বা ঐ সকল মহিলারা ঐ পুরুষের সাথে কথা বলতে চাইলে তা জায়েয হবে কি?

 

 

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৮৩৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

মুহতারাম! একটি বিষয়ে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। তা হল, ১০/১২ বছর আগে আমার এক আত্মীয়ার তালাক হয়েছিল। তখন তার একটি দুধের বাচ্চা ছিল। তালাক হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে অন্যত্র তার বিবাহ হয়। যে লোকটির সাথে তার বিবাহ হয়, তার অন্য স্ত্রীর ঘরে একটি ছেলে আছে। তখন ছেলেটির বয়স ৪ বছর ছিল। আর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সংসার করার সময়ও আমার আত্মীয়া তার প্রথম সংসারের সেই দুধের শিশুটিকে দুধ পান করিয়েছে। এই শিশুটি মেয়ে শিশু। এখন সে বড় হয়েছে। এখন পারিবারিকভাবে এই মেয়েটির সাথে আমার আত্মীয়ার দ্বিতীয় স্বামীর ছেলের বিবাহ দেওয়ার কথাবার্তা চলছে। কিন্তু কেউ কেউ বলছে, এই বিবাহ বৈধ হবে না। কারণ, তারা দু’জন তো দুধ ভাই-বোন। কেননা, দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সংসার করার সময়ও তো আমার আত্মীয়া তার মেয়েকে দুধ পান করিয়েছে। এভাবে দ্বিতীয় স্বামী তো মেয়েটির দুধ সম্পর্কীয় বাবা হয়। আর ছেলেটি হয় মেয়েটির দুধ ভাই। এখন হুযুরের নিকট আমরা জানতে চাচ্ছি যে, তারা দু’জন কি দুধ ভাই বোন? এবং তাদের মধ্যে কি বিবাহ অবৈধ? আশা করি, সঠিক মাসআলা জানিয়ে আমাদেরকে বাধিত করবেন।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর | মুসলিম বাংলা