আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একদিন আসরের নামাযের তৃতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব তিনটি সেজদা করে। কিছু মুকতাদী তৃতীয় সেজদায় ইমাম সাহেবের অনুসরণ করেন। আর কিছু মুকতাদী অনুসরণ করেননি। ইমাম সাহেব নামায শেষে সেজদায়ে সাহুও করেননি। এখন তাদের নামাযের হুকুম কী?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনৈক ব্যক্তি যোহরের নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের স'লে ভুলবশত সূরা ফাতিহা পড়ে ফেলে। পরে মনে হলে তাশাহহুদ, দরূদ ও দুআ পড়ে সাহু সিজদা ছাড়া নামায শেষ করে। তার নামায কি আদায় হয়েছে? নাকি পুনরায় পড়তে হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম একদিন বিতর নামাযে ভুলে দুআয়ে কুনূত না পড়ে রুকুতে চলে গিয়েছিলেন। মুকতাদীরা পিছন থেকে আল্লাহু আকবার বলে লুকমা দিলে তিনি রুকু থেকে ফিরে আসেন এবং দুআ কুনূত পড়েন। অতঃপর আবার রুকু করেন এবং সাহু সিজদা করে নামায শেষ করেন। প্রশ্ন হল, তার এ নামায সহীহ হয়েছে কি না?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি আসরের নামায পড়ছিলাম। ভুলে তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা শেষ করে সূরা মিলিয়েছি এবং সাহু সিজদা করেছি এই মনে করে যে, আমার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছে। পরে জানতে পারি যে, আমার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়নি। এখন আমার নামাযের হুকুম কী?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনৈক ইমাম সাহেব চার রাকাতবিশিষ্ট নামাযের তৃতীয় রাকাতে ভুলে আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন পর্যন্ত উচ্চস্বরে পড়ে ফেলেন। এতে কি তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছে? কতটুকু উচ্চস্বরে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

যোহরের নামায কোনো কারণবশত একাকী আদায় করছিলাম। দ্বিতীয় রাকাতে ভুলবশত সূরা ফাতেহার পর অন্য সূরা মিলাইনি। তাই তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর অন্য  সূরা পড়ে নিয়েছি। যেহেতু আমি দ্বিতীয় রাকাতের ক্ষতি তৃতীয় রাকাতে পূরণ করে নিয়েছি তাই সিজদায়ে সাহু করিনি। কাজটি কি সঠিক হয়েছে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একবার আমার নামাযে ভুল হয়েছিল, যার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছিল। সাহু সিজদা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। স্মরণ হয়েছে দুআ মাছুরা পড়ার পর। ঐ সময় আমি একদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা আদায় করেছি। এরপর যথানিয়মে নামায শেষ করেছি। এখন আমি জানতে চাই, ঐ সময় সাহু সিজদা করাতে নামাযের কোনো সমস্যা হয়েছে কি?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক ব্যক্তি এক রাকাতে ভুলে তিনটি সিজদা করে এবং সাহু সিজদা না করেই নামায শেষ করে। এমতাবস্থায় তার নামায কি শুদ্ধ হয়েছে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি মাগরিব নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ভুলক্রমে সূরা নাস পড়ে ফেলি। পরে দ্বিতীয় রাকাতেও সে সূরাই পাঠ করি। কিন্তু সাহু সিজদা আদায় করিনি।

প্রশ্ন হল, আমার উক্ত নামায সহীহ হয়েছে কি? ফরয নামাযের প্রথম রাকাতে কখনো সূরা নাস পড়ে ফেললে দ্বিতীয় রাকাতে আমার করণীয় কী?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

 

একদিন আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব যোহরের নামাযের ১ম রাকাতে উচ্চস্বরে সূরা ফাতেহার ১ম আয়াত তেলাওয়াত করেন। তারপর নিম্নস্বরেই অবশিষ্ট কেরাত পাঠ করেন। সর্বশেষে তিনি সাহু সিজদা না দিয়েই নামায শেষ করেন। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এমনকি তারা পরস্পরে ঝগড়া বিবাদেও লিপ্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক বেশি চিন্তিত। মেহেরবানী করে সমাধান জানিয়ে চিন্তামুক্ত করবেন।

 

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

মহিলারা হায়েয অবস্থায় সিজদার আয়াত শুনলে পবিত্র হওয়ার পর তাদেরকে সিজদা দিতে হবে কি?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একদিন এশার নামাযে ইমাম সাহেব প্রথম বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে যান। পরে আরো দুই রাকাত পড়ে যথারীতি উভয়দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন কিন্তু সাহু সিজদা দেননি। তবে বিষয়টি মনে পড়ার সাথে সাথে নামায পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগে তিনি সাহু সিজদা দেন এবং পুনরায় শেষ বৈঠক করে নামায শেষ করেন। এখন জানার বিষয় হল, উভয় দিকে সালাম ফিরানোর পরেও কি ইমাম সাহেবের সাহু সিজদা দেওয়া শুদ্ধ হয়েছে?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একদিন যোহরের নামায পড়ছিলাম। দুরাকাত পড়ার পর ভুলে তাশাহহুদের পর দরূদ শরীফ ও দুআ পড়ে চার রাকাত মনে করে সালাম ফিরিয়ে নিই। সালাম ফিরানোর পরপরই আমি দ্রুত সুন্নত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাই। সুন্নতের জন্য আলাদা নিয়তও বেঁধে ফেলি। কিন্তু এরপরই আমার স্মরণ হয়, আমার যোহরের ফরয পুরা হয়নি। তাই সুন্নতের নিয়ত বাদ দিয়ে মনে মনে ফরযের বাকি দু রাকাতের নিয়ত করে নিই। তারপর সাহু সিজদা দিয়ে নামায শেষ করি। এখন জানার বিষয় হল, আমার যোহরের নামায কি আদায় হয়েছে, নাকি পুনরায় পড়তে হবে?

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক ব্যক্তি যোহর নামাযের পূর্বের চার রাকাত সুন্নতের প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদের পর ভুলে দরূদ শরীফের ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ’ পর্যন্ত পড়েছে। এ কারণে কি তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

অনেক সময় নামাযের রাকাত নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাই। চেষ্টা করেও স্মরণ করতে পারি না কত রাকাত পড়েছি। এক্ষেত্রে করণীয় কী?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একটি হেফযখানার শিক্ষক। আমাদের হেফযখানার অধিকাংশ ছাত্রই নাবালেগ। ছাত্রদের থেকে সবক শোনার সময় প্রায়ই সিজদার আয়াত শুনতে হয়। জানতে চাই, এ সকল নাবালেগ ছাত্রদের থেকে সিজদার আয়াত শোনার কারণে আমার উপর কি সিজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

গত কিছুদিন আগে আসরের নামাযে ইমাম সাহেব প্রথম বৈঠক না করে ভুলবশত দাঁড়িয়ে যান। তখন মুসল্লিরাও দাঁড়িয়ে যায়। সাথে সাথে অনেকে লোকমা দেয়। লোকমা দিলে ইমাম সাহেবসহ সবাই বসে পড়েন। নামাযের পর সাহু সিজদা আদায় করে নেন। কিন্তু নামাযের পর আমাদের মাদরাসার একজন সিনিয়র উস্তায দাঁড়িয়ে বললেন, নামায হয়নি। পুনরায় আদায় করতে হবে। আরেকজন মুফতী সাহেব বললেন, নামায হয়ে গেছে, পুনরায় পড়তে হবে না। এ অবস্থায় প্রথমজনের কথা অনুযায়ী আবার নামায আদায় করা হয়। উল্লেখ্য, ইমাম কিন্তু একজনই। আর ঐ মুফতী সাহেব নামায না পড়ে বের হয়ে যান। এখন প্রশ্ন হল, প্রথম জামাত কি সহীহ হয়েছে? যদি সহীহ হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় জামাতের হুকুম কী হবে?

বিস্তারিত দলিল-প্রমাণসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতি হওয়ার কারণে মোবাইল রেকর্ডার ইত্যাদির প্রচলন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই যে কোনো জায়গায় মোবাইল রেকর্ডার ইত্যাদি থেকে কুরআনের তিলাওয়াত শোনা যায়। জানার বিষয় হল, মোবাইল, টেপ রেকর্ডার ইত্যাদি থেকে সিজদার আয়াত শুনলে কি সিজদা ওয়াজিব হবে?

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

 এক ব্যক্তি একাকী যোহর নামায পড়ছিল। দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়ানোর পর সূরা ফাতিহার স্থানে ভুলে তাশাহহুদ পড়া শুরু করে দেয়। তাশাহহুদ পড়া শেষ হওয়ার পর তার এ ভুলের কথা স্মরণ হয়। স্মরণ হওয়া মাত্র সূরা ফাতেহা পড়া শুরু করে। কিন্তু নামায শেষে সে সাহু সিজদা করেনি। এখন জানার বিষয় হল, তার এ নামায কি সহীহ হয়েছে, না তা আবার পড়তে হবে?