আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#৭০৪৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
বিষয়:- ফ্লাক্সি লোড দিয়ে ইনকাম করা প্রসঙ্গে।
"ক" ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে। কম্পানি তার লাভের জন্য মাঝেমাঝে তাকে অফার দেয়। যেমন ১০০০ মিনিটটের বান্ডেল অফার টির মূল্য ৬০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫০ টাকা করে দেয়।
"ক" বিষয়টি মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে "খ" কে জানাই।
"খ" বিষয়টি "গ" কে জানাই, কিন্তু সে মূল্য নির্ধারণ করে তিনশত ষাট টাকা।
"গ" অফারটি নিতে সম্মত হলে "খ" "গ" এর নাম্বারটি "ক" কে প্রদান করে। "ক" "গ" এর নাম্বারে বান্ডেল অফারটি প্রদান করে।
এরপর "খ" "গ" এর নিকট থেকে ৩৬০ টাকা বুঝে নেয় এবং "ক" কে ৩৫০ টাকা প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে "খ" কর্তৃক বর্ধিত মূল্য অফার বিক্রি করার ব্যাপারে "ক" এর সম্মতি রয়েছে।
প্রশ্ন হল তাদের এই কার্যক্রম টি বৈধ হয়েছে কিনা?
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ
৫ জুলাই, ২০২১
২XCC+Q৩W
#২৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনাব মুফতী সাহেব! আমার জানার বিষয় হচ্ছে, সরকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন সময় চারাগাছ ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবচেকম রেটে যারা চারাগাছ দিতে পারবে জানিয়ে দরপত্র দাখিল করে- সরকার তাদেরকেই প্রাধান্য দেয়। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা এরকম হয় যে, বিভিন্ন নার্সারি থেকে কাক্সিক্ষত পরিমাণ বৃক্ষচারা যদি দশ টাকা করে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকে তাহলে লাভ হিসেবে তার সঙ্গে -ধরা যাক- আরো দুই টাকা যোগ করে প্রতিটি চারাগাছের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণপূর্বক আবেদনপত্র পেশ করা হয়। কিন্তু সরকারের তরফে আবেদন মঞ্জুর হওয়ার জন্য এ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাথে আরো দুই টাকা সংযুক্ত করে দরপত্রে বৃক্ষমূল্য ১৪ টাকা উল্লেখের কথা বলে। ফলে সরকার বৃক্ষ প্রতি ঠিকই ১৪ টাকা দাম পরিশোধে চুক্তিবদ্ধ থাকে। কিন্তু আমার হাতে আসে ১২ টাকা। বাকি দুই টাকা কর্মকর্তারা আনুষঙ্গিক কাজের জন্য কমিশন ফি হিসেবে কেটে রাখে। ক্ষেত্রবিশেষ দেখা যায়, অন্য যারা দরপত্র দাখিল করেছে তাদের মধ্যে আমার দেয়া ১৪ টাকাই সর্বনিম্ন রেট। বাকিদেরটা হয়ত ১৫ টাকা বা তারও ওপরে। এমতাবস্থায় প্রকৃত দামের বাইরে বৃক্ষপ্রতি ঐ দুই টাকা দিতে রাজী হলে কর্মকার্তারা আমার আবেদনকে অগ্রাধিকার দেয়ার আগ্রহ দেখায়। তো আমার জন্য কি এই শর্ত মেনে টেন্ডার গ্রহণের অবকাশ আছে? বিশেষ করে অন্যদের চেয়ে আমার রেট যখন তুলনামূলক কম। তাছাড়া আমি এই টেন্ডার না নিলেও অন্যদেরকে অনুরূপ কমিশন প্রদানের শর্তেই তো দেবে?!

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

মুহতারাম, বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের এলাকায় খাস বা সরকারি অনেক নদী-নালা, খাল-বিল আছে। এর চারপাশে মালিকানাধীন ফসলী জমি। বর্ষাকালে বর্ষার পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। নদী-নালা, খাল-বিলগুলো দুই পদ্ধতিতে ভোগ করা হয় :

১. কিছু নদী-নালা, খাল-বিল সরকার থেকে নিয়ম মুআফেক লিজ নেওয়া হয়।

২. কিছু এলাকার গণ্যমান্য সরকারি স্থানীয় প্রতিনিধি উপজেলা চেয়াম্যান-এর সম্মতিতে মসজিদ-মাদরাসার নামে লিজ দেওয়া হয়। আমার জানামতে যা সরকারি আইন পরিপন্থী। এর থেকে যে টাকা অর্জিত হয় তা মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। লিজ দেওয়া ও নেওয়ার কারণে গরীব-গোরাবা ও সাধারণ মানুষ বর্ষার পানির মুক্ত মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হয়।

উল্লেখ্য, নদী-নালা, খাল-বিলে মাছ আসা এবং থাকার জন্য ইজারাদারগণ বাঁশ, গাছের ডাল এবং খাবার ইত্যাদি দিয়ে থাকেন।

এখন জানার বিষয় হল :

১। লিজ দেওয়া-নেওয়া শরীয়তসম্মত কি না? থাকলে এর পদ্ধতি কী?

২। বিবরণে উল্লিখিত উভয় পদ্ধতিতে লিজ দেওয়া-নেওয়া  বৈধ হচ্ছে কি না?

৩। উক্ত লিজের টাকা দিয়ে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ, ইমাম, মুআযযিন, খাদেম, শিক্ষকগণের বেতন ও প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা বৈধ হবে কি না? না হলে এর বৈধতার উপায় কী?

৪। লিজের মাধ্যমে অর্জিত মসজিদের টাকা কেউ যদি মসজিদ কমিটি থেকে এই বলে নিয়ে যায় যে, মসজিদের নামে খাল-বিলের  লিজের কাগজ-পত্র সরকার থেকে ব্যবস্থা করে দেবে। অতঃপর  সে নিজেই তা আত্মসাৎ করে, তবে এর জন্য দায়ী কে- মসজিদ কমিটি, না গ্রহিতা?

৫। মুক্ত পানির মাছ ধরতে ইজারাদাগরণ সাধারণ মানুষকে বাধা দেওয়ার অধিকার রাখে কি না?

৬। মালিকানাধীন জমি ইজারাদারগণ ব্যবহারের অধিকার রাখে কি না? রাখলে এর সীমা কতটুকু?

৭। সরকার থেকে সল্পমূল্যে লিজে এনে  বেশি মূল্যে সাধারণ মানুষের নিকট লিজে দেওয়া শরীয়তসম্মত কি না? থাকলে এর শর্ত কী?

৮। এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হাওড়ের অপরের মালিকানাধীন কিছু জমি বর্ষাকালে মুক্ত মাছ ধরার জন্য লিজ দিয়ে ভোগ করে আসছে। শরীয়তে এর বৈধতা আছে কি না? থাকলে এর পদ্ধতি কী?

অতএব, মুফতী সাহেবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উল্লিখিত প্রশ্নাবলীর উত্তর প্রদান করে কৃতজ্ঞ করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কিছুদিন আগে আমি ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ ক্রয় করি। তখন ওয়ালটনের একটি ছাড় চলছিল। (এখনও চলছে) এর নাম হল ক্যাশভাউচার। ফ্রিজ ক্রয়ের পর নিয়ম অনুযায়ী আমি দোকানে লাগানো ওয়ালটনের বারকোডের উপর মোবাইল ফোন স্ক্যান করে নাম দেওয়ার পর আমার ফোনে সাতশত টাকা চলে আসে। টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ নির্দিষ্ট কিছু পন্যে ওয়ালটন ক্রেতাদের এ সুবিধা দিচ্ছে। তাদের লিফলেট অনুযায়ী এবং দোকানীদের কথা অনুযায়ী ৩০০ টাকা থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত ক্রেতারা এ সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে এ টাকা ঐসব দোকান থেকে নগদ ওঠানো যায় না। বরং ওয়ালটনেরই অন্য কোনো পণ্য কিনলে ঐ পরিমাণ টাকা কম নেওয়া হয়। তাই আমিও ঐ সাতশত টাকার সাথে আরো কিছু টাকা দিয়ে একটি আয়রন ক্রয় করে ফেলি।

মুহতারামের কাছে জানতে চাই, ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটন ক্যাশভাউচারের নামে যা দিচ্ছে তা নেওয়া জায়েয হবে কি না? আর আমি যে ঐ টাকা দিয়ে আয়রণ ক্রয় করেছি তা জায়েয হবে কি না? দয়া করে সঠিক উত্তর জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন মুসলমান। আমি আমার জীবনের যে কোনো ধরনের হারাম উপার্জন থেকে বাঁচানোর জন্য বদ্ধ পরিকর। আমি একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে চাকরি করি। আমি শরীয়াহভিত্তিক একটি সমিতির সদস্য। আমাদের সমিতির অর্থ দিয়ে সদস্যদের বাড়ি করার জন্য একটি জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। এই জমি ডেভলপ কোম্পানীকে দেয়া হবে নাকি নিজেরা বাড়ি করবে এ নিয়ে একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত হচ্ছে। তাই আমার অংশের টাকার উপর প্রতি বছর যাকাত দিয়ে আসছি। এখন আমার প্রশ্ন হল, এই যাকাত প্রদান ঠিক আছে কি না?

দ্বিতীয় বিষয় হল, চাকরির অনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কিছু অর্থ দিয়ে অন্য কোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের চেষ্টা করি। কিন্তু টাকার স্বল্পতার জন্য এবং শরয়ী বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা না হওয়ায় জমির উপর বিনিয়োগ করি। দুইজন মুফতী সাহেবের সাথে কথা বলে যে পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার ধরন নি¤েœ উল্লেখ করলাম :

১ম ধরন : ৫০,০০০/- টাকা দিয়ে এক ব্যক্তির নিকট থেকে মৌখিকভাবে ২০ শতক জায়গা ক্রয় করলাম এবং পরবর্তীতে অন্য এক মজলিসে বসে ঐ ব্যক্তির সাথে ওয়াদা করলাম যে, যখন জমি বিক্রি করব তখন আপনার কাছেই বিক্রি করব। অর্থাৎ সে যখন আমাকে টাকা ফেরত দেবে তখন নতুন করে জমির দাম ধরে তার কাছে আবার বিক্রি করে দিব। (এখানে উল্লেখ্য যে, ২০ শতক জমির প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি)

২য় ধরন : জমির মালিককে অগ্রিম ৫০,০০০/- টাকা দিব এবং সেখান থেকে প্রতি বছর ২ ফসলের জন্য জমির ভাড়া বাবদ ৮০০ টাকা করে কর্তন হতে থাকবে। অর্থাৎ সে যদি ১ বছর পর টাকা পরিশোধ করে তাহলে (৫০,০০০-৮০০) = ৪৯,২০০/- টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু আমি তাকে প্রতি বছর ৮০০ টাকা দিতে থাকব, যে পর্যন্ত সে আমাকে ৫০,০০০/- টাকা ফেরত না দেবে। (এখানে উল্লেখ্য যে, জমির প্রকৃত ভাড়া আরও বেশি, কিন্তু আমাকে কম টাকায় বন্ধক দিত তাহলে জমি ফেরত নেয়ার সময় তাকে পুরো ৫০,০০০/- টাকাই পরিশোধ করতে হতো তাই সে আমাকে কম টাকায় ভাড়া দিয়েছে)

কেউ কেউ এভাবে জায়েয নয় বলে জানিয়েছে। তাই মনের সংশয় দূর করার জন্য দয়া করে উক্ত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত জানালে উপকৃত হব, অথবা অন্য কোনো সঠিক পদ্ধতি থাকলে জানালে উপকৃত হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন)-এ কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। বিএডিসি একটি কর্পোরেশন হলেও সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীর যাবতীয় বিধান অনুসরণপূর্বক বেতন-ভাতাদিসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। জাতীয় বেতন স্কেল অনুসরণে বেতন-ভাতাদি ও চাকরির অবসরকালীন যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। তবে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের অবসরকালীন পেনশন ও গ্রাচ্যুটি প্রদান করা হয় আর বিএডিসির কর্মকর্তাদের সরকারি কর্মকর্তাদের ন্যায় পেনশন প্রদান করা হয় না। বিএডিসির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গ্রাচ্যুটি ও প্রভিডেন্ট-এর সুবিধা প্রদান করা হয়। তাই, জানতে চাই গ্রাচ্যুটি/প্রভিডেন্ট ফান্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ পেনশন স্কিম (সঞ্চয়পত্র)-এ রাখা যাবে কি না? পেনশন স্কিমের সুবিধা হল, পঞ্চাশ লক্ষ টাকা জমা রাখলে প্রতি তিন মাস পর পর পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করা হয় এবং মূল অর্থ অক্ষত থাকে।

উল্লেখ্য, সরকারের জাতীয় স্কেলভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীরাই শুধু পেনশন স্কিম (সঞ্চয়পত্র)-এ টাকা লগ্নি করতে পারে।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৩১৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের দুটি কবুতর ছিল। হঠাৎ একটি কবুতর হারিয়ে যায়। কিছুদিন পর যে কবুতরটি ছিল তার সাথে বাইরের অন্য একটি কবুতর এসে মিলিত হল। এরপর বাইরের কবুতরটি ডিম পেড়ে অনেকগুলো বাচ্চা ফুটিয়েছে। আমরা ঐ বাচ্চাগুলোর কিছু খেয়েছি, কিছু বিক্রি করেছি। এখন আমার জানার বিষয় হল, এ দুটি কবুতরের একটি আমাদের, অন্যটি কার- তা জানা যায়নি। এমন অবস্থায় বাচ্চাগুলি খাওয়া বা বিক্রি করা কি ঠিক হয়েছে? যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি? ঐ কবুতর এবং তার অবশিষ্ট বাচ্চাগুলিই বা কী করব?

বিস্তারিত জানালে খুশি হব।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০