আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১২১১-২
১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৭৮২। আব্দুল মালিক ইবনে শু’আয়ব ইবনে লাঈস (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। আমাদের কেউ শুধু উমরার ইহরাম বাধল, আর কেউ শুধু হজ্জের ইহরাম বাঁধল। এভাবে আমরা মক্কায় পৌছলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যারা উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছে কিন্তু কুরবানীর পশু আনেনি, তারা যেন ইহরাম খুলে ফেলে। আর যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছে এবং সাথে কুরবানীর পশুও এনেছে, তারা কুরবানী করার পরই কেবল ইহরামমুক্ত হবে। আর যারা হজ্জের ইহরাম বেঁধেছে, তারা যেন হজ্জ পুর্ণ করে।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমার হায়য শুরু হয়ে গেল এবং আরাফার দিবস পর্যন্ত তা চলতে থাকল। আমি উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে মাথার চুল খুলে ফেলতে, তাতে চিরুনি করতে, হজ্জের ইহরাম বাঁধতে এবং উমরা পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দিলেন। আমি তাই করলাম এবং হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পূর্ণ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সাথে (আমার ভাই) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরকে পাঠালেন এবং তিনি আমাকে তানঈম থেকে ইহরাম বেঁধে উমরা করার নির্দেশ দিলেন- যেহেতু আমি উমরার ইহরাম পরিত্যাগ করে হজ্জের ইহরাম বেধেছিলাম; অথচ আমি উক্ত উমরা সমাপ্ত করতে পারি নাই।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমার হায়য শুরু হয়ে গেল এবং আরাফার দিবস পর্যন্ত তা চলতে থাকল। আমি উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে মাথার চুল খুলে ফেলতে, তাতে চিরুনি করতে, হজ্জের ইহরাম বাঁধতে এবং উমরা পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দিলেন। আমি তাই করলাম এবং হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পূর্ণ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সাথে (আমার ভাই) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরকে পাঠালেন এবং তিনি আমাকে তানঈম থেকে ইহরাম বেঁধে উমরা করার নির্দেশ দিলেন- যেহেতু আমি উমরার ইহরাম পরিত্যাগ করে হজ্জের ইহরাম বেধেছিলাম; অথচ আমি উক্ত উমরা সমাপ্ত করতে পারি নাই।
باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ حَتَّى قَدِمْنَا مَكَّةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَلَمْ يُهْدِ فَلْيَحْلِلْ وَمَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَأَهْدَى فَلاَ يَحِلُّ حَتَّى يَنْحَرَ هَدْيَهُ وَمَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ فَلْيُتِمَّ حَجَّهُ " . قَالَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - فَحِضْتُ فَلَمْ أَزَلْ حَائِضًا حَتَّى كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ وَلَمْ أُهْلِلْ إِلاَّ بِعُمْرَةٍ فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَنْقُضَ رَأْسِي وَأَمْتَشِطَ وَأُهِلَّ بِحَجٍّ وَأَتْرُكَ الْعُمْرَةَ - قَالَتْ - فَفَعَلْتُ ذَلِكَ حَتَّى إِذَا قَضَيْتُ حَجَّتِي بَعَثَ مَعِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ وَأَمَرَنِي أَنْ أَعْتَمِرَ مِنَ التَّنْعِيمِ مَكَانَ عُمْرَتِي الَّتِي أَدْرَكَنِي الْحَجُّ وَلَمْ أَحْلِلْ مِنْهَا .
