আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১২১১-১
১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৭৮১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। আমরা উমরার জন্য ইহরাম বাঁধলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যার সাথে হাদী অর্থাৎ কুরবানীর পশু আছে সে যেন একত্রে উমরার সাথে হজ্জের ইহরাম বাঁধে, অতঃপর উমরা ও হজ্জের অমুষ্ঠান শেষ না করে যেন ইহরামমুক্ত না হয়। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমি হায়য অবস্থায় মক্কায় পৌছলাম। তাই আমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করতে পারিনি। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম।
তিনি বললেন, তোমার চুলের বেণী খূলে ফেল এবং চিরুনি কর, হজ্জের ইহরাম বাঁধ এবং উমরা পরিত্যাগ কর। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাই করলাম। আমাদের হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে (আমার ভাই) আব্দুর রহমানের সাথে তানঈম নামক স্থানে পাঠালেন। আমি সেখান থেকে ইহরাম বেধে উমরা পালন করি। নবী (ﷺ) বললেন, এটা তোমার (ইহরাম বাধার) স্থান। যেসব লোক শুধু উমরার ইহরাম বেঁধেছিল, তারা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করার পর ইহরামমুক্ত হয়ে গেল। অতঃপর তারা মিনা থেকে ফিরে এসে পুনরায় তাদের হজ্জের তাওয়াফ করল আর যারা উমরা ও হজ্জের জন্য একত্রে ইহরাম বেঁধেছিল, তারা একবার তাওয়াফ করল।
তিনি বললেন, তোমার চুলের বেণী খূলে ফেল এবং চিরুনি কর, হজ্জের ইহরাম বাঁধ এবং উমরা পরিত্যাগ কর। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাই করলাম। আমাদের হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে (আমার ভাই) আব্দুর রহমানের সাথে তানঈম নামক স্থানে পাঠালেন। আমি সেখান থেকে ইহরাম বেধে উমরা পালন করি। নবী (ﷺ) বললেন, এটা তোমার (ইহরাম বাধার) স্থান। যেসব লোক শুধু উমরার ইহরাম বেঁধেছিল, তারা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করার পর ইহরামমুক্ত হয়ে গেল। অতঃপর তারা মিনা থেকে ফিরে এসে পুনরায় তাদের হজ্জের তাওয়াফ করল আর যারা উমরা ও হজ্জের জন্য একত্রে ইহরাম বেঁধেছিল, তারা একবার তাওয়াফ করল।
باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ لاَ يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا " . قَالَتْ فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلاَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ وَدَعِي الْعُمْرَةَ " . قَالَتْ فَفَعَلْتُ فَلَمَّا قَضَيْنَا الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ فَقَالَ " هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ " . فَطَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلُّوا ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى لِحَجِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَانُوا جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا .
