আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১২- দুই ঈদের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯৬৮
৬১১. ঈদের নামাযের জন্য সকাল সকাল রওয়ানা হওয়া।
আব্দুল্লাহ ইবনে বুসর (রাযিঃ) বলেছেন, আমরা চাশতের নামাযের সময় ঈদের নামায সমাপ্ত করতাম।
৯১৭। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... বারাআ ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিতেন। তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের প্রথম কাজ হল নামায আদায় করা। তারপর ফিরে এসে কুরবানী করা। যে ব্যক্তি এরূপ করবে সে আমাদের নিয়ম পালন করল। যে ব্যক্তি নামাযের আগেই যবেহ করবে, তা শুধু গোশতের জন্যই হবে, যা সে পরিবারের জন্য তাড়াতাড়ি করে ফেলেছে। কুরবানীর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। তখন আমার মামা আবু বুরদা ইবনে নিয়ার (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো নামাযের আগেই যবেহ করে ফেলেছি। তবে এখন আমার নিকট এমন একটি মেষশাবক আছে যা ‘মুসিন্না’* মেষের চাইতেও উত্তম। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তার স্থলে এটিই কুরবানী করে নাও। অথবা তিনি বললেনঃ এটিই যবেহ কর। তবে তুমি ব্যতীত আর কারো জন্যই মেষশাবক যথেষ্ঠ হবে না।

*মুসিন্না অর্থ যার বয়স এক বছর পূর্ণ হয়ে দ্বিতীয় বছরে পড়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন