আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১০- জুমআর অধ্যায়

হাদীস নং: ৮৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯১৫
৫৭৮. আযানের সময় মিম্বরের উপর বসা।
৮৬৯। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... সায়িব ইবনে ইয়াযীদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মসজিদে মুসল্লীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, উসমান (রাযিঃ) জুম’আর দিন দ্বিতীয় আযানের নির্দেশ দেন। ইতিপূর্বে জুম’আর দিন ইমাম যখন (মিম্বরের উপর) বসতেন, তখন আযান দেওয়া হত।
باب الْجُلُوسِ عَلَى الْمِنْبَرِ عِنْدَ التَّأْذِينِ
915 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ: أَنَّ «التَّأْذِينَ الثَّانِيَ يَوْمَ الجُمُعَةِ، أَمَرَ بِهِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حِينَ كَثُرَ أَهْلُ المَسْجِدِ، وَكَانَ التَّأْذِينُ يَوْمَ الجُمُعَةِ حِينَ يَجْلِسُ الإِمَامُ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত উসমান রা.-এর খিলাফতের পূর্ব পর্যনত্ম জুমআর দিন খতীবের সামনে একবার আযান দেয়া হতো; যেটাকে আমরা বর্তমানে ছানী আযান বলে থাকি। অতঃপর হযরত উসমান রা.-এর যুগে এসে যখন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেলো তখন নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানানোর জন্য তৃতীয় খলীফায়ে রাশেদ হযরত উসমান রা. এ আযানের প্রচলন ঘটালেন। এখন আমাদের জন্য উভয় আযানের অনুকরণ করা ছুন্নাত হবে। কেননা সহীহ হাদীসের বর্ণনায় রসূল স. আমাদেরকে খুলাফায়ে রাশেদার ছুন্নাতের অনুকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ-৪৫৫২, মুসনাদে আহমাদ-১৭১৪৪ তিরমিযী-২৬৭৬ এবং ইবনে মাযা-৪২) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৮৪, ২/১৬১)

উল্লেখ্য, সে যুগে ইকামাতকে আযান বলে গণ্য করা হতো। তাই হাদীসে এটাকে তৃতীয় আযান বলা হয়েছে। অন্যথায় আযান হতো দুটি আর ইকামাত একটি।
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৮৬৯ | মুসলিম বাংলা