আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৬- মুসাফিরের নামায - কসর নামায
হাদীস নং: ১৬১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬ - ৬
১৭. রাতের নামায, রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামাযের রাক’আত সংখ্যা, বিতর নামায এক রাক’আত এবং এক রাক’আত নামাযও বিশুদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
১৬১৭। আলী ইবনে খাশরাম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন কোন আমল করতেন তখন নিয়মিত করতেন আর যখন রাতের বেলা নিদ্রা মগ্ন হয়ে পড়তেন কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন দিনের বেলা বারো রাকআত নামায আদায় করে নিতেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কোন রাতে ভোর পর্যন্ত রাত্রি জাগরণ করতে এবং রমযান ব্যতীত কোন মাসে লাগাতার রোযা পালন করতে দেখিনি।
باب صَلاَةِ اللَّيْلِ وَعَدَدِ رَكَعَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ الْوِتْرَ رَكْعَةٌ وَأَنَّ الرَّكْعَةَ صَلاَةٌ صَحِيحَةٌ
وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَمِلَ عَمَلاً أَثْبَتَهُ وَكَانَ إِذَا نَامَ مِنَ اللَّيْلِ أَوْ مَرِضَ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً . قَالَتْ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ لَيْلَةً حَتَّى الصَّبَاحِ وَمَا صَامَ شَهْرًا مُتَتَابِعًا إِلاَّ رَمَضَانَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারাও নফল ইবাদতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার গুরুত্ব বোঝা যায়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তা রক্ষা করতেন এবং কোনও ওজরবশত ছুটে গেলে দিনের বেলা তা কাযা করে নিতেন, যেমনটা এ হাদীছে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি অন্যকেও উৎসাহিত করেছেন, যদি ওজরবশত তাহাজ্জুদ ছুটে যায়। তবে যেন তার কাযা করে নেয়, যেমন ১৫৩নং হাদীছ দ্বারা জানা যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছেরও শিক্ষা হচ্ছে কোনও নফল ইবাদত বিশেষত তাহাজ্জুদের নামায পড়া শুরু করার পর ইচ্ছাকৃত তা ছেড়ে দিতে নেই, যথাসাধ্য তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।
খ. ঘুমিয়ে পড়া, ভুলে যাওয়া বা অন্য কোনও ওজরবশত ওযিফা আদায় করতে ভুলে গেলে সমপরিমাণ 'ইবাদত দিনের বেলা করে নেওয়া চাই, যদিও তা ওয়াজিব নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছেরও শিক্ষা হচ্ছে কোনও নফল ইবাদত বিশেষত তাহাজ্জুদের নামায পড়া শুরু করার পর ইচ্ছাকৃত তা ছেড়ে দিতে নেই, যথাসাধ্য তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।
খ. ঘুমিয়ে পড়া, ভুলে যাওয়া বা অন্য কোনও ওজরবশত ওযিফা আদায় করতে ভুলে গেলে সমপরিমাণ 'ইবাদত দিনের বেলা করে নেওয়া চাই, যদিও তা ওয়াজিব নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
