আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৬- মুসাফিরের নামায - কসর নামায
হাদীস নং: ১৬১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬ - ৫
১৭. রাতের নামায, রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামাযের রাক’আত সংখ্যা, বিতর নামায এক রাক’আত এবং এক রাক’আত নামাযও বিশুদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
১৬১৬। সাঈদ ইবনে মনসুর ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কোন অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায ছুটে যেত, তবে তিনি দিনের বেলা বারো রাক’আত নামায আদায় করে নিতেন।
باب صَلاَةِ اللَّيْلِ وَعَدَدِ رَكَعَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ الْوِتْرَ رَكْعَةٌ وَأَنَّ الرَّكْعَةَ صَلاَةٌ صَحِيحَةٌ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، قَالَ سَعِيدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاَةُ مِنَ اللَّيْلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيْرِهِ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারাও নফল ইবাদতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার গুরুত্ব বোঝা যায়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তা রক্ষা করতেন এবং কোনও ওজরবশত ছুটে গেলে দিনের বেলা তা কাযা করে নিতেন, যেমনটা এ হাদীছে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি অন্যকেও উৎসাহিত করেছেন, যদি ওজরবশত তাহাজ্জুদ ছুটে যায়। তবে যেন তার কাযা করে নেয়, যেমন ১৫৩নং হাদীছ দ্বারা জানা যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছেরও শিক্ষা হচ্ছে কোনও নফল ইবাদত বিশেষত তাহাজ্জুদের নামায পড়া শুরু করার পর ইচ্ছাকৃত তা ছেড়ে দিতে নেই, যথাসাধ্য তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।
খ. ঘুমিয়ে পড়া, ভুলে যাওয়া বা অন্য কোনও ওজরবশত ওযিফা আদায় করতে ভুলে গেলে সমপরিমাণ 'ইবাদত দিনের বেলা করে নেওয়া চাই, যদিও তা ওয়াজিব নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছেরও শিক্ষা হচ্ছে কোনও নফল ইবাদত বিশেষত তাহাজ্জুদের নামায পড়া শুরু করার পর ইচ্ছাকৃত তা ছেড়ে দিতে নেই, যথাসাধ্য তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।
খ. ঘুমিয়ে পড়া, ভুলে যাওয়া বা অন্য কোনও ওজরবশত ওযিফা আদায় করতে ভুলে গেলে সমপরিমাণ 'ইবাদত দিনের বেলা করে নেওয়া চাই, যদিও তা ওয়াজিব নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
