আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৪
৫৫১. কাঁচা রসুন, পিয়াজ ও দুর্গন্ধযুক্ত মশলা বা তরকারী।
নবী (ﷺ) এর বাণীঃ ক্ষুধা বা অন্য কোন কারণে কেউ যেন রসুন বা পিয়াজ খেয়ে কিছুতেই আমাদের মসজিদের কাছে না আসে।
৮১১। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ যদি এ জাতীয় গাছ থেকে খায়, তিনি এ দ্বারা রসুন বুঝিয়েছেন, সে যেন আমাদের মসজিদে না আসে। (রাবী আতা (রাহঃ) বলেন) আমি জাবির (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (ﷺ) এরদ্বারা কি বুঝিয়েছেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমার ধারণা যে, নবী (ﷺ) এর দ্বারা কাঁচা রসুন বুঝিয়েছেন এবং মাখলাদ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) থেকে দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন