আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৭৯৩। আবু নু’আইম (রাহঃ) ......... শাকীক ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) বলেন, আমরা যখন নবী (ﷺ) এর পিছনে নামায আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, “আসসালামু আলা জিবরাঈল ওয়া মিকাইল এবং আসসালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।” তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্ নিজেই তো সালাম, তাই যখন তোমরা কেউ নামায আদায় করবে, তখন সে যেন বলেঃ*
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ
কেননা, যখন তোমরা এটি বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার কাছে তা পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গে أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ** ও পড়বে।
*তাশাহহুদের অর্থ- সমস্ত মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাগণের প্রতি।
**আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মা'বূদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন