আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৩
৫১৯. সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতে বলতে নত হওয়া।
নাফি’ (র.) বলেন, ইবনে উমর (রা.) সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু রাখার আগে হাত রাখতেন।
নাফি’ (র.) বলেন, ইবনে উমর (রা.) সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু রাখার আগে হাত রাখতেন।
৭৬৭। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রমযান মাসের নামায বা অন্য কোন সময়ের নামায ফরয হোক বা অন্য কোন নামায হোক, দাঁড়িয়ে শুরু করার সময় তাকবীর বলতেন, আবার রুকূ’তে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। তারপর (রুকূ’ থেকে উঠার সময়) سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, সিজদায় যাওয়ার পূর্বে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। তারপর সিজদার জন্য অবনত হওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলতেন। আবার সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। এরপর (দ্বিতীয়) সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন এবং সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। দু’ রাক'আত আদায় করে দাঁড়ানোর সময় আবার তাকবীর বলতেন। নামায শেষ করা পর্যন্ত প্রতি রাকআতে এইরূপ করতেন। নামায শেষে তিনি বলতেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমাদের মধ্য থেকে আমার নামায রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামাযের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত নবী (ﷺ) এর নামায এরূপই ছিল।
উভয় বর্ণনাকারী [আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ও আবু সালামা (রাহঃ)] বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। আর কতিপয় লোকের নাম উল্লেখ করে তাঁদের জন্য দুআ করতেন। দুআয় তিনি বলতেন, ইয়া আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনে ওয়ালীদ, সালামা ইবনে হিশাম, আইয়্যাশ ইবনে আবু রবী’আ (রাযিঃ) এবং অপরাপর দুর্বল মুসলমাদেরকে রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ্! মুদার গোত্রের উপর আপনার পাকড়াও কঠোর করুন, ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর যুগে যেমন খাদ্য সংকট ছিল তাদের জন্যও অনুরূপ খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে দিন।
(রাবী বলেন) ঐ যুগে পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী মুদার গোত্রের লোকেরা নবী (ﷺ) এর বিরোধী ছিল।
উভয় বর্ণনাকারী [আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ও আবু সালামা (রাহঃ)] বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। আর কতিপয় লোকের নাম উল্লেখ করে তাঁদের জন্য দুআ করতেন। দুআয় তিনি বলতেন, ইয়া আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনে ওয়ালীদ, সালামা ইবনে হিশাম, আইয়্যাশ ইবনে আবু রবী’আ (রাযিঃ) এবং অপরাপর দুর্বল মুসলমাদেরকে রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ্! মুদার গোত্রের উপর আপনার পাকড়াও কঠোর করুন, ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর যুগে যেমন খাদ্য সংকট ছিল তাদের জন্যও অনুরূপ খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে দিন।
(রাবী বলেন) ঐ যুগে পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী মুদার গোত্রের লোকেরা নবী (ﷺ) এর বিরোধী ছিল।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসার সময় তাকবীর বলতে হয়। এ ছাড়াও হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন আবার রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। রুকু থেকে পিঠ সোজা করে উঠার সময় سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলতেন এবং দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময়, আবার দ্বিতীয় সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময় তাকবীর বলতেন। এভাবেই পুরো নামায শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক শেষে যখন উঠতেন তখনও তাকবীর বলতেন। (বুখারী: ৭৫৩) এ হাদীস থেকে আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসায় তাকবীর বলতে হয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৬)
