আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫২
৪৮৫. নামাযে এদিক-ওদিক তাকান।
৭১৬। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী (ﷺ) একটি নকশা করা চাঁদর পরে নামায আদায় করলেন। নামাযের পরে তিনি বললেনঃ এ চাঁদরের কারুকার্য আমার মনকে নিবিষ্ট করে রেখেছিল। এটি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং এর পরিবর্তে একটি “আম্বিজানিয়্যাহ” নিয়ে এস।
باب الاِلْتِفَاتِ فِي الصَّلاَةِ
752 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي خَمِيصَةٍ لَهَا أَعْلاَمٌ، فَقَالَ: «شَغَلَتْنِي أَعْلاَمُ هَذِهِ، اذْهَبُوا بِهَا إِلَى أَبِي جَهْمٍ وَأْتُونِي بِأَنْبِجَانِيَّةٍ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নামাযের মধ্যে এদিক-ওদিক তাকানো মাকরূহ। একান্ত যদি দেখতে হয় তো নফল নামাযে দেখতে পারে ফরযে নয়। বরং মুসল্লীর জন্য উচিত হলো তার দৃষ্টি সিজদার স্থানে নিবদ্ধ রাখা। হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লীর দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম না করুক। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৩) হযরত ইবনে ছীরীন রহ. থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লী তার দৃষ্টি সিজদার জায়গা বরাবর রাখবে। যদি সে এটা না করে তাহলে তার দু’চোখ বন্ধ করে রাখবে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৪)
