আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৪
৪৮১. তাকবীরে তাহরীমার পরে কি পড়বে।
৭০৮। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক। তাকবীর ও কিরাআতের মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করে থাকেন? তিনি বললেনঃ এ সময় আমি বলিঃ হে আল্লাহ্! আপনি মাশরিক ও মাগরিবের মধ্যে যেরূপ দুরত্ব সৃষ্টি করেছেন, আমার ও আমার ত্রুটি-বিচ্যুতির মধ্যে তদ্রূপ দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন। হে আল্লাহ! শুভ্র বস্ত্রকে যেরূপ নির্মল করা হয় আমাকেও সেরূপ পাক-সাফ করুন। আমার অপরাধসমূহ পানি, বরফ ও হিমশিলা দ্বারা বিধৌত করে দিন।*

*এ হাদীস থেকে মনে হচ্ছে, মহানবী (ﷺ) তাকবীরে তাহরীমা-র পর বিসমিল্লাহ্ ও প্রচলিত সানা বা 'সুবহানাকা' পড়তেন না। বাস্তবে ব্যাপারটি তেমন নয় । কেননা, মুসলিম শরীফের হাদীসে রয়েছে, প্রিয়নবী (ﷺ) নিঃশব্দে বিসমিল্লাহ পড়তেন এবং অন্যান্য হাদীসগ্রস্থে রয়েছে মহানবী (ﷺ) বিসমিল্লাহ-র পর সানা তথা মহান আল্লাহর প্রশংসা বা প্রার্থনামূলক কিছু পাঠ করতেন। তবে আলোচ্য হাদীসের প্রার্থনাজ্ঞাপক বাক্যগুলোও যেহেতু প্রকারান্তরে আল্লাহ তা'আলার গুণগান, তাই এগুলোও 'সানা'-এর অন্তর্গত। সুতরাং সংশয়ের কিছু নেই ।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন