আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা

হাদীস নং: ৬৮৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৬৭
৩১০০. নবী (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীলের দ্বারা যা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত তা ব্যতীত। অনুরূপ তাঁর নির্দেশ দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীল দ্বারা তা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত হলে ভিন্ন কথা। যেমন নবী (ﷺ) এর বাণীঃ যখন তোমরা (ইহরাম থেকে) হালাল হয়ে যাও, নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে। জাবির (রাযিঃ) বলেন, এ কাজ তাদের জন্য ওয়াজিব করা হয়নি। বরং তাদের জন্য (স্ত্রী স্পর্শ-সহবাস) হালাল করা হয়েছে। উম্মে আতীয়্যা (রাযিঃ) বলেছেন, আমাদেরকে (মহিলাদের) জানাযার সাথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আমাদের উপর বাধ্যতামূলক নয়।
৬৮৬১। মক্কী ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে বকর (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহকে এই কথা বলতে শুনেছি যে, তার সাথে তখন আরো কিছু লোক ছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ হজ্জের নিয়তে ইহরাম বেধেছিলাম। এর সাথে উমরার নিয়ত ছিল না। বর্ণনাকারী আতা (রাহঃ) বলেন, জাবির (রাযিঃ) বলেছেন, নবী (ﷺ) যিলহজ্জ মাসের চার তারিখ সকাল বেলায় (মক্কায়) আগমন করলেন। এরপর আমরাও যখন আগমন করলাম, তখন নবী (ﷺ) আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন।* তিনি বললেনঃ তোমরা ইহরাম খুলে ফেল এবং স্ত্রীদের সাথে মিলিত হও। (রাবী) আতা (রাহঃ) বর্ণনা করেন, জাবির (রাযিঃ) বলেছেনঃ (স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা) তিনি তাদের উপর বাধ্যতামূলক করেননি বরং মুবাহ করে দিয়েছেন। এরপর তিনি অবহিত হন যে, আমরা বলাবলি করছি আমাদের ও আরাফার দিনের মাঝখানে মাত্র পাঁচদিন বাকি। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা ইহরাম খুলে স্ত্রীদের সাথে মিলিত হই। তখন তো আমরা পৌছব আরাফায় আর আমাদের পুরুষাঙ্গ থেকে মযী ঝরতে থাকবে। আতা বলেনঃ জাবির (রাযিঃ) এ কথা বোঝানোর জন্য হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেছিলেন কিংবা হাত নেড়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে বললেনঃ তোমরা জানো, আমি তোমাদের মধ্যে আল্লাহকে অধিক ভয় করি, তোমাদের তুলনায় আমি বেশী সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান। আমার সাথে যদি কুরবানীর পশু না থাকত আমিও তোমাদের মত ইহরাম খুলে ফেলতাম। সুতরাং তোমরা ইহরাম খুলে ফেল। আমি যদি আমার কাজের পরিণাম আগে জানতাম যা পরে অবগত হয়েছি তবে আমি কুরবানীর পশু সঙ্গে আনতাম না। অতএব আমরা ইহরাম খুলে ফেললাম। নবী (ﷺ) এর নির্দেশ শোনলাম এবং তাঁর আনুগত্য করলাম।

*মহানবী (ﷺ)-এর সাথে হজ্জ আদায় করার বছর সাহাবীগণের মধ্যে যারা শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন তাদেরকে তিনি তা উমরায় পরিণত করে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দেন এবং তা শুধু ঐ বছরের জন্যই প্রযোজ্য ছিল।
بَابُ نَهْيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى التَّحْرِيمِ إِلاَّ مَا تُعْرَفُ إِبَاحَتُهُ وَكَذَلِكَ أَمْرُهُ نَحْوَ قَوْلِهِ حِينَ أَحَلُّوا: ‘أَصِيبُوا مِنَ النِّسَاءِ’. وَقَالَ جَابِرٌ: وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ، وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ. وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ: نُهِينَا عَنِ اتِّبَاعِ الْجَنَازَةِ وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا
7367 - حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ عَطَاءٌ: قَالَ جَابِرٌ: قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ البُرْسَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فِي أُنَاسٍ مَعَهُ قَالَ: أَهْلَلْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الحَجِّ خَالِصًا لَيْسَ مَعَهُ عُمْرَةٌ، قَالَ عَطَاءٌ: قَالَ جَابِرٌ: فَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُبْحَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الحِجَّةِ، فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَحِلَّ، وَقَالَ: «أَحِلُّوا وَأَصِيبُوا مِنَ النِّسَاءِ» ، قَالَ عَطَاءٌ: قَالَ جَابِرٌ: وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ، وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ، فَبَلَغَهُ أَنَّا نَقُولُ: لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا خَمْسٌ، أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ إِلَى نِسَائِنَا، فَنَأْتِي عَرَفَةَ تَقْطُرُ مَذَاكِيرُنَا المَذْيَ، قَالَ: وَيَقُولُ جَابِرٌ بِيَدِهِ هَكَذَا وَحَرَّكَهَا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ، وَلَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّونَ، فَحِلُّوا، فَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ» ، فَحَلَلْنَا وَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৬৮৬১ | মুসলিম বাংলা