আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭৯- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৬৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৬২
৩০১৯. মোহরকৃত চিঠির ব্যাপারে সাক্ষ্য, এতে যা বৈধ ও যা সীমিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপরিচালকের চিঠি প্রশাসকদের কাছে এবং বিচারপতির চিঠি বিচারপতির কাছে।
কোন কোন লোক বলেছেন, ’হদ’ (শরীয়তের নির্ধারিত শাস্তি) ব্যতীত অন্যান্য ব্যাপারে রাষ্ট্র পরিচালককে চিঠি দেওয়া বৈধ। এরপর তিনি বলেছেন, হত্যা যদি ভুলবশত হয় তাহলে রাষ্ট্র পরিচালকের চিঠি বৈধ। কেননা, তাঁর মতে এটি মাল সংক্রান্ত বিষয়। অথচ এটি মাল সংক্রান্ত বিষয় বলে ঐ সময় প্রতীয়মান হবে, যখন হত্যা প্রমাণিত হবে। ভুলবশত হত্যা ও ইচ্ছাকৃত হত্যা একই।
উমর (রাযিঃ) তাঁর কর্মকর্তার নিকট জারুদের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি লিখেছিলেন।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) ভেঙ্গে যাওয়া দাঁতের ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন।
ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, লেখা ও মোহর যদি চিনতে পারেন, তাহলে বিচারপতির কাছে অন্য বিচারপতির চিঠি লেখা বৈধ।
শা'বী (রাহঃ) বিচারপতির পক্ষ থেকে মোহরকৃত চিঠি বৈধ মনে করতেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত।
মুআবিয়া ইবনে আব্দুল কারীম সাকাফী (রাহঃ) বলেন, আমি বসরার বিচারপতি আব্দুল মালিক ইব্ন ইয়ালা, ইয়াস ইবন মুআবিয়া, হাসান, ছুমামাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আনাস, বিলাল ইবনে আবু বুরদা, আব্দুল্লাহ ইবনে বুরায়দা আসলামী, আমের ইবনে আবীদা ও আব্বাদ ইবনে মানসুরকে প্রত্যক্ষ করেছি, তাঁরা সকলেই সাক্ষীদের অনুপস্থিতিতে বিচারপতিদের চিঠি বৈধ মনে করতেন। চিঠিতে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হত, সে যদি একে মিথ্যা বা জাল বলে দাবি করত, তাহলে তাকে বলা হত, যাও, এ অভিযোগ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণ কর।
সর্বপ্রথম যারা বিচারপতির চিঠির ব্যাপারে প্রমাণ দাবি করেছেন তারা হলেন, ইবনে আবু লায়লা এবং সওয়ার ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ)।
আবু নুআয়ম (রঃ) আমাদের বলেছেন, উবাইদুল্লাহ্ ইবনে মুহরিয আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, “আমি বসরার বিচারপতি মুসা ইবনে আনাসের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে আসলাম। সেখানে আমি তাঁর নিকট এ মর্মে প্রমাণ পেশ করলাম যে, অমুকের নিকট আমার এতো এতো পাওনা আছে, আর সে কুফায় অবস্থানরত। এ চিঠি নিয়ে আমি কাসিম ইবনে আব্দুর রহমানের কাছে আসলাম, তিনি তা কার্যকর করলেন।
হাসান ও আবু কিলাবা অসিয়্যতনামায় কী লেখা আছে তা না জেনে তার সাক্ষী হওয়াকে মাকরুহ মনে করতেন। কেননা, সে জানেনা, হয়তো এতে কারো প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
নবী (ﷺ) খায়বরবাসীদের প্রতি চিঠি লিখেছিলেন যে, হয় তোমরা তোমাদের সাথীর 'দিয়ত' (রক্তপণ) আদায় কর, না হয় যুদ্ধের ঘোষণা গ্রহণ কর।
পর্দার অন্তরাল থেকে মহিলাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়া সম্পর্কে ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, যদি তুমি তাকে চিনতে পার তাহলে তার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে, তা না হলে সাক্ষ্য দেবে না।
কোন কোন লোক বলেছেন, ’হদ’ (শরীয়তের নির্ধারিত শাস্তি) ব্যতীত অন্যান্য ব্যাপারে রাষ্ট্র পরিচালককে চিঠি দেওয়া বৈধ। এরপর তিনি বলেছেন, হত্যা যদি ভুলবশত হয় তাহলে রাষ্ট্র পরিচালকের চিঠি বৈধ। কেননা, তাঁর মতে এটি মাল সংক্রান্ত বিষয়। অথচ এটি মাল সংক্রান্ত বিষয় বলে ঐ সময় প্রতীয়মান হবে, যখন হত্যা প্রমাণিত হবে। ভুলবশত হত্যা ও ইচ্ছাকৃত হত্যা একই।
উমর (রাযিঃ) তাঁর কর্মকর্তার নিকট জারুদের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি লিখেছিলেন।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) ভেঙ্গে যাওয়া দাঁতের ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন।
ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, লেখা ও মোহর যদি চিনতে পারেন, তাহলে বিচারপতির কাছে অন্য বিচারপতির চিঠি লেখা বৈধ।
শা'বী (রাহঃ) বিচারপতির পক্ষ থেকে মোহরকৃত চিঠি বৈধ মনে করতেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত।
মুআবিয়া ইবনে আব্দুল কারীম সাকাফী (রাহঃ) বলেন, আমি বসরার বিচারপতি আব্দুল মালিক ইব্ন ইয়ালা, ইয়াস ইবন মুআবিয়া, হাসান, ছুমামাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আনাস, বিলাল ইবনে আবু বুরদা, আব্দুল্লাহ ইবনে বুরায়দা আসলামী, আমের ইবনে আবীদা ও আব্বাদ ইবনে মানসুরকে প্রত্যক্ষ করেছি, তাঁরা সকলেই সাক্ষীদের অনুপস্থিতিতে বিচারপতিদের চিঠি বৈধ মনে করতেন। চিঠিতে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হত, সে যদি একে মিথ্যা বা জাল বলে দাবি করত, তাহলে তাকে বলা হত, যাও, এ অভিযোগ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণ কর।
সর্বপ্রথম যারা বিচারপতির চিঠির ব্যাপারে প্রমাণ দাবি করেছেন তারা হলেন, ইবনে আবু লায়লা এবং সওয়ার ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ)।
আবু নুআয়ম (রঃ) আমাদের বলেছেন, উবাইদুল্লাহ্ ইবনে মুহরিয আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, “আমি বসরার বিচারপতি মুসা ইবনে আনাসের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে আসলাম। সেখানে আমি তাঁর নিকট এ মর্মে প্রমাণ পেশ করলাম যে, অমুকের নিকট আমার এতো এতো পাওনা আছে, আর সে কুফায় অবস্থানরত। এ চিঠি নিয়ে আমি কাসিম ইবনে আব্দুর রহমানের কাছে আসলাম, তিনি তা কার্যকর করলেন।
হাসান ও আবু কিলাবা অসিয়্যতনামায় কী লেখা আছে তা না জেনে তার সাক্ষী হওয়াকে মাকরুহ মনে করতেন। কেননা, সে জানেনা, হয়তো এতে কারো প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
নবী (ﷺ) খায়বরবাসীদের প্রতি চিঠি লিখেছিলেন যে, হয় তোমরা তোমাদের সাথীর 'দিয়ত' (রক্তপণ) আদায় কর, না হয় যুদ্ধের ঘোষণা গ্রহণ কর।
পর্দার অন্তরাল থেকে মহিলাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়া সম্পর্কে ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, যদি তুমি তাকে চিনতে পার তাহলে তার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে, তা না হলে সাক্ষ্য দেবে না।
৬৬৭৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) যখন রোম সম্রাটের কাছে চিঠি লিখতে চাইলেন, তখন লোকেরা বলল, মোহরকৃত চিঠি না হলে তারা তা পাঠ করে না। তাই নবী (ﷺ) একটি রূপার আংটি তৈরী করলেন। [আনাস (রাযিঃ) বলেন] আমি এখনও যেন এর ঔজ্জ্বল্য প্রত্যক্ষ করছি। তাতে مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ অংকিত ছিল।
بَابُ الشَّهَادَةِ عَلَى الخَطِّ المَخْتُومِ، وَمَا يَجُوزُ مِنْ ذَلِكَ وَمَا يَضِيقُ عَلَيْهِمْ، وَكِتَابِ الحَاكِمِ إِلَى عَامِلِهِ وَالقَاضِي إِلَى القَاضِي وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: كِتَابُ الحَاكِمِ جَائِزٌ إِلَّا فِي الحُدُودِ، ثُمَّ قَالَ: إِنْ كَانَ القَتْلُ خَطَأً فَهُوَ جَائِزٌ، لِأَنَّ هَذَا مَالٌ بِزَعْمِهِ، وَإِنَّمَا صَارَ مَالًا بَعْدَ أَنْ ثَبَتَ القَتْلُ، فَالخَطَأُ وَالعَمْدُ وَاحِدٌ وَقَدْ كَتَبَ عُمَرُ إِلَى عَامِلِهِ فِي الجَارُودِ وَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ العَزِيزِ فِي سِنٍّ كُسِرَتْ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: كِتَابُ القَاضِي إِلَى القَاضِي جَائِزٌ إِذَا عَرَفَ الكِتَابَ وَالخَاتَمَ وَكَانَ الشَّعْبِيُّ يُجِيزُ الكِتَابَ المَخْتُومَ بِمَا فِيهِ مِنَ القَاضِي وَيُرْوَى عَنْ ابْنِ عُمَرَ نَحْوُهُ وَقَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ عَبْدِ الكَرِيمِ الثَّقَفِيُّ: شَهِدْتُ عَبْدَ المَلِكِ بْنَ يَعْلَى قَاضِيَ البَصْرَةِ، وَإِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، وَالحَسَنَ، وَثُمَامَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، وَبِلاَلَ بْنَ أَبِي بُرْدَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيَّ، وَعَامِرَ بْنَ عَبِيدَةَ، وَعَبَّادَ بْنَ مَنْصُورٍ، يُجِيزُونَ كُتُبَ القُضَاةِ بِغَيْرِ مَحْضَرٍ مِنَ الشُّهُودِ، فَإِنْ قَالَ: الَّذِي جِيءَ عَلَيْهِ بِالكِتَابِ: إِنَّهُ زُورٌ، قِيلَ لَهُ: اذْهَبْ فَالْتَمِسِ المَخْرَجَ مِنْ ذَلِكَ، وَأَوَّلُ مَنْ سَأَلَ عَلَى كِتَابِ القَاضِي البَيِّنَةَ ابْنُ [ص:67] أَبِي لَيْلَى، وَسَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَقَالَ لَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُحْرِزٍ: جِئْتُ بِكِتَابٍ مِنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ قَاضِي البَصْرَةِ، وَأَقَمْتُ عِنْدَهُ البَيِّنَةَ: أَنَّ لِي عِنْدَ فُلاَنٍ كَذَا وَكَذَا، وَهُوَ بِالكُوفَةِ، وَجِئْتُ بِهِ القَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأَجَازَهُ وَكَرِهَ الحَسَنُ، وَأَبُو قِلاَبَةَ: أَنْ يَشْهَدَ عَلَى وَصِيَّةٍ حَتَّى يَعْلَمَ مَا فِيهَا، لِأَنَّهُ لاَ يَدْرِي لَعَلَّ فِيهَا جَوْرًا وَقَدْ كَتَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ خَيْبَرَ: «إِمَّا أَنْ تَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ تُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ» وَقَالَ الزُّهْرِيُّ، فِي الشَّهَادَةِ عَلَى المَرْأَةِ مِنْ وَرَاءِ السِّتْرِ: «إِنْ عَرَفْتَهَا فَاشْهَدْ، وَإِلَّا فَلاَ تَشْهَدْ»
7162 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: لَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى الرُّومِ، قَالُوا: إِنَّهُمْ لاَ يَقْرَءُونَ كِتَابًا إِلَّا مَخْتُومًا، " فَاتَّخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِهِ، وَنَقْشُهُ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ "
