মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
১. একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
হাদীস নং: ৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২১৫
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩০) রিফাআহ আল-জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল (ﷺ)-এর সাথে (কোন সফরের উদ্দেশ্যে) অগ্রসর হচ্ছিলাম।যখন আমরা আল-কাদীদ’ (অথবা বলেন-কুদাইদ) নামক সারোবরে উপস্থিত হলাম, তখন লোকজন রাসূল (ﷺ)-এর কাছে তাদের পরিবার পরিজনের কাছে যাওয়ার অনুমতি চাইতে শুরু করলো; আর তিনি অনুমতি প্রদান করতে থাকেন।অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দণ্ডায়মান হয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বাক্য পাঠ করার পর বলেনঃ ঐ সব লোকদের অবস্থা কী যাদের কাছে সৃহ্মের দুইটি অংশের মধ্যে সেই অংসটি বেশী অপছন্দনীয় যে অংশটির নীচে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) অবস্থান করছেন।(বর্ণনাকারী বলেন) অতঃপর আমরা দলের সবাইকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখতে পেলাম।এমন সময় একজন (ইনি হযরাত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) বলে ওঠেনঃ এরপর যে ব্যক্তি আপনার কাছে অনুমতি প্রার্থনা করবে, সে নিঃসন্দেহে নির্বোধ।তারপর রাসূল (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং বলেনঃ এবার আমি আল্লাহর দরবারে সাহ্ম্য দিচ্ছি যে, কোন বান্দা যদি তার অন্তরে সত্য জ্ঞান করে এই মর্মে সাহ্ম্য প্রদান করে মৃত্যুবরণ করে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন উপাস্য বা ইলাহ নেই এবং আমি (মাহাম্মদ) আল্লাহর রাসূল, অতঃপর জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তবে সেই বান্দা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং আমার প্রভু আমাকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন যে, তিনি আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজারকে বিনা হিসেবে ও বিনা শাস্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।আর আমি আশা করি সেই সব (সৌভাগ্যশালী) জান্নাতীগণ জান্নাতে প্রবেশ করবেন না যতহ্মণ পর্যন্ত না তোমরা এবং তোমাদের মাতা-পিতা স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণের মধ্য থেকে সৎ লোকেরা জান্নাতে আবাস লাভ করবে।
(একই বর্ণনাকারী থেকে দ্বিতীয় সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেনঃ আমরা মক্কা থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বের হলাম।তখন লোকজন রাসূল (ﷺ)-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করতে লাগল, অতঃপর তিনি হাদীসখানি বর্ণনা করেন।তিনি বলেন, এমতাবস্থায় হযরাত আবূ বকর (রা) বলে ওঠেন, এরপর যে ব্যক্তি অনুমতি চাইবে, সে আমার মতে নিরেট বোকা।অতঃপর রাসূল (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি পাঠ করার পর বললেনঃ আমি আল্লাহর সম্মুখে সাহ্ম্য দিচ্ছি, রাসূল (ﷺ) যখন শপথ করতেন, তখন বলতেন যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ যে কোন বান্দা যদি আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে এবং জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীস উল্লেখ করেন।
(একই বর্ণনাকারী থেকে তৃতীয় আরেক সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমভিব্যহারে অগ্রসর হলাম এবং যখন আল-কাদীদে’ পৌঁছালাম, অথবা বললেন, আরাফাতে পৌঁছালাম, অতঃপর হাদীসের অংশ উল্লেখ করেন।
(তাবারানী ও ইবন্ হাব্বান।এছাড়া বগ্ভী, আল বারূদী ও ইবন্ কানে উল্লেখ করেছেন।আহমদ ও ইবন্ মাজাহ্ হাদীসটির অংশবিশেষ সংকলন করেছেন।এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃত।)]
(একই বর্ণনাকারী থেকে দ্বিতীয় সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেনঃ আমরা মক্কা থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বের হলাম।তখন লোকজন রাসূল (ﷺ)-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করতে লাগল, অতঃপর তিনি হাদীসখানি বর্ণনা করেন।তিনি বলেন, এমতাবস্থায় হযরাত আবূ বকর (রা) বলে ওঠেন, এরপর যে ব্যক্তি অনুমতি চাইবে, সে আমার মতে নিরেট বোকা।অতঃপর রাসূল (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি পাঠ করার পর বললেনঃ আমি আল্লাহর সম্মুখে সাহ্ম্য দিচ্ছি, রাসূল (ﷺ) যখন শপথ করতেন, তখন বলতেন যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ যে কোন বান্দা যদি আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে এবং জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীস উল্লেখ করেন।
(একই বর্ণনাকারী থেকে তৃতীয় আরেক সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমভিব্যহারে অগ্রসর হলাম এবং যখন আল-কাদীদে’ পৌঁছালাম, অথবা বললেন, আরাফাতে পৌঁছালাম, অতঃপর হাদীসের অংশ উল্লেখ করেন।
(তাবারানী ও ইবন্ হাব্বান।এছাড়া বগ্ভী, আল বারূদী ও ইবন্ কানে উল্লেখ করেছেন।আহমদ ও ইবন্ মাজাহ্ হাদীসটির অংশবিশেষ সংকলন করেছেন।এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃত।)]
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(30) وعن رفاعة الجهنى رضى الله عنه قال أقبلنا مع رسول الله
-[نعيم الموحدين ووعيد المشركين 51]-
صلى الله عليه وسلم حتى إذا كنا بالكديد (1) أو قال بقديد فجعل رجال يسأذنون الى اهليهم فيأذن لهم فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله وأثنى عليه ثم قال ما بال رجال يكون شق الشجرة التى تلى رسول الله صلى الله عليه وسلم أبغض اليهم من الشق الاخر فلم نر عند ذلك من القوم إلا باكيا فقال رجل (2) إن الذى يستأنك بعد هذا لسفيه (3) فحمد الله وقال حينئذ أشهد عند الله لا يموت عبد يشهد أن لا اله الا الله وأنى رسول الله صدقا من قلبه ثم يسدد (4) إلا سلك فى الجنة قال وقد وعدنى ربى أن يدخل من امتى سبعين الفا لا حساب عليهم ولا عذاب وإنى لأرجو أن لا يدخلوها حتى تبوؤا (5) انتم ومن صلح من آبائكم وأزواجكم وذرياتكم مساكن فى الجنة
(وعنه من طريق ثان) (6) قال صدرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من مكة فجعل الناس يستأذنونه فذكر الحديث قال وقال ابو بكر (رضى الله عنه) إن الذى يستأذنك بعد هذا لسفيه فى نفسى ثم إن النبى صلى الله عليه وسلم حمد الله وقال خيرا ثم قال أشهد عند الله وكان إذا حلف قال والذى نفس محمد بيده ما من عبد يؤمن بالله واليوم الاخر ثم يسدد الا سلك فى الجنة فذكر الحديث
(وعنه من طريق ثالث) (1) قال اقبلنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اذا كنا بالكديد او قال بعرفة فذكر الحديث
-[نعيم الموحدين ووعيد المشركين 51]-
صلى الله عليه وسلم حتى إذا كنا بالكديد (1) أو قال بقديد فجعل رجال يسأذنون الى اهليهم فيأذن لهم فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله وأثنى عليه ثم قال ما بال رجال يكون شق الشجرة التى تلى رسول الله صلى الله عليه وسلم أبغض اليهم من الشق الاخر فلم نر عند ذلك من القوم إلا باكيا فقال رجل (2) إن الذى يستأنك بعد هذا لسفيه (3) فحمد الله وقال حينئذ أشهد عند الله لا يموت عبد يشهد أن لا اله الا الله وأنى رسول الله صدقا من قلبه ثم يسدد (4) إلا سلك فى الجنة قال وقد وعدنى ربى أن يدخل من امتى سبعين الفا لا حساب عليهم ولا عذاب وإنى لأرجو أن لا يدخلوها حتى تبوؤا (5) انتم ومن صلح من آبائكم وأزواجكم وذرياتكم مساكن فى الجنة
(وعنه من طريق ثان) (6) قال صدرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من مكة فجعل الناس يستأذنونه فذكر الحديث قال وقال ابو بكر (رضى الله عنه) إن الذى يستأذنك بعد هذا لسفيه فى نفسى ثم إن النبى صلى الله عليه وسلم حمد الله وقال خيرا ثم قال أشهد عند الله وكان إذا حلف قال والذى نفس محمد بيده ما من عبد يؤمن بالله واليوم الاخر ثم يسدد الا سلك فى الجنة فذكر الحديث
(وعنه من طريق ثالث) (1) قال اقبلنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اذا كنا بالكديد او قال بعرفة فذكر الحديث