আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৯- শপথ ও মান্নতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৫৪
২৭৫৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা আল্লাহ তাআলার নামে সুদৃঢ় কসম করছে।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি স্বপ্নের তা'বীর করতে যে ভুল করেছি তা আপনি অবশ্যই আমাকে বলে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি কসম করো না।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি স্বপ্নের তা'বীর করতে যে ভুল করেছি তা আপনি অবশ্যই আমাকে বলে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি কসম করো না।
৬১৯৯। কাবীসা ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... বারা' ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) আমাদেরকে কসমকারীর কসম পূর্ণ করতে হুকুম করেছেন।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কসমকারীর কসম রক্ষায় সহযোগিতা করা
إِبْرَارُ الْمُقسِمِ (কসমকারীর কসম রক্ষায় সহযোগিতা করা)। কেউ যদি আল্লাহর নামে কসম দিয়ে কাউকে কোনও কাজ করতে বলে, যেমন বলল- আল্লাহর কসম, তুমি এ কাজ অবশ্যই করবে, তবে সেই ব্যক্তির কর্তব্য কাজটি অবশ্যই করা, যদি সে কাজটি বৈধ হয় এবং তার পক্ষে তা করা সম্ভবপরও হয়। এটা করলে সেই ব্যক্তি কসম ভঙ্গের অপরাধ থেকে বেঁচে যাবে। কসম ভঙ্গ করা কিছুতেই উচিত নয়। কেননা তাতে আল্লাহ তা'আলার নামের অমর্যাদা হয়। একজন মুমিন সর্বাপেক্ষা বেশি ভালোবাসে আল্লাহ তা'আলাকে। তাই সে আল্লাহ তা'আলার নামের অমর্যাদা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। আর তা পারে না বলেই সে নিজে যেমন নিজ কসম পূরণ করে আল্লাহ তা'আলার নামের মর্যাদা রক্ষা করবে, তেমনি অন্যের কসম পূরণে সহায়তা করেও আল্লাহ তাআলার নামের মর্যাদা রক্ষা করবে। কাজেই তাকে কেউ কসমের সঙ্গে কিছু করতে বললে সে তা অবশ্যই করতে সচেষ্ট থাকবে।
বর্ণিত আছে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এক ব্যক্তিকে চরি করতে দেখে পাকড়াও করেছিলেন। সে ব্যক্তি আল্লাহর নামে কসম করে চুরির কথা অস্বীকার করল। উত্তরে তিনি বললেন, আমি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখি। কাজেই ধরে নিচ্ছি আমার দেখাটাই ভুল। এভাবে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তার কসমের মর্যাদা দিয়েছিলেন।
অন্যের মর্যাদা রক্ষা না করা এক রকম অপরাধ। অন্য হাদীছ দ্বারাও এর সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীছে আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
من حلف على أحد بيمين وهو يرى أنه سيبره فلم يفعل فإنما إثمه على الذي لم يبره
'যে ব্যক্তি কারও প্রতি কোনও বিষয়ে কসম করে আর সে ব্যক্তি মনে করে যে, সে (কাজটি করে) তার কসম রক্ষা করাতে পারবে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তা না করে, তবে এর গুনাহ হবে ওই ব্যক্তির উপর, যে তার কসম রক্ষা করতে দিল না’।
(বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা: ১৯৮৯১; সুনানে দারা কুতনী: ৪২৭০)
একবার এক মহিলা উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি.-কে কিছু খেজুর হাদিয়া দিলে তিনি তা থেকে কিছু খেলেন এবং কিছু রেখে দিলেন। তখন সেই মহিলা বলল, আমি কসম করে বলছি সবগুলোই খান। তা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার কসম পূর্ণ করো। কেননা যে ব্যক্তি কসম ভাঙ্গায়, গুনাহ তারই হয়।
(বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা: ১৯৮৯২; মুসনাদে আহমাদ: ২৪৮৩৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এরকমই করতেন। কেউ তাঁকে আল্লাহর নামে কসম দিয়ে কিছু করার অনুরোধ জানালে তিনি সেই অনুরোধ রক্ষা করতেন। একবার চাচা আব্বাস রাযি. আল্লাহর নামে কসম করে তাঁর কাছে এক ব্যক্তির পক্ষে বাইআতের সুপারিশ করলে তিনি বলেছিলেন, হাঁ, আমি আমার চাচার কসম পূর্ণ করলাম।
(সুনানে ইবন মাজাহ : ২১১৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫১; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা : ১৯৮৮৯)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ কসম দিয়ে কোনও কাজ করতে বললে আল্লাহ তা'আলার নামের মর্যাদা। রক্ষার্থে সে কাজটি অবশ্যই করা উচিত, যদি তা শরী'আতসম্মত হয়।
إِبْرَارُ الْمُقسِمِ (কসমকারীর কসম রক্ষায় সহযোগিতা করা)। কেউ যদি আল্লাহর নামে কসম দিয়ে কাউকে কোনও কাজ করতে বলে, যেমন বলল- আল্লাহর কসম, তুমি এ কাজ অবশ্যই করবে, তবে সেই ব্যক্তির কর্তব্য কাজটি অবশ্যই করা, যদি সে কাজটি বৈধ হয় এবং তার পক্ষে তা করা সম্ভবপরও হয়। এটা করলে সেই ব্যক্তি কসম ভঙ্গের অপরাধ থেকে বেঁচে যাবে। কসম ভঙ্গ করা কিছুতেই উচিত নয়। কেননা তাতে আল্লাহ তা'আলার নামের অমর্যাদা হয়। একজন মুমিন সর্বাপেক্ষা বেশি ভালোবাসে আল্লাহ তা'আলাকে। তাই সে আল্লাহ তা'আলার নামের অমর্যাদা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। আর তা পারে না বলেই সে নিজে যেমন নিজ কসম পূরণ করে আল্লাহ তা'আলার নামের মর্যাদা রক্ষা করবে, তেমনি অন্যের কসম পূরণে সহায়তা করেও আল্লাহ তাআলার নামের মর্যাদা রক্ষা করবে। কাজেই তাকে কেউ কসমের সঙ্গে কিছু করতে বললে সে তা অবশ্যই করতে সচেষ্ট থাকবে।
বর্ণিত আছে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এক ব্যক্তিকে চরি করতে দেখে পাকড়াও করেছিলেন। সে ব্যক্তি আল্লাহর নামে কসম করে চুরির কথা অস্বীকার করল। উত্তরে তিনি বললেন, আমি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখি। কাজেই ধরে নিচ্ছি আমার দেখাটাই ভুল। এভাবে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তার কসমের মর্যাদা দিয়েছিলেন।
অন্যের মর্যাদা রক্ষা না করা এক রকম অপরাধ। অন্য হাদীছ দ্বারাও এর সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীছে আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
من حلف على أحد بيمين وهو يرى أنه سيبره فلم يفعل فإنما إثمه على الذي لم يبره
'যে ব্যক্তি কারও প্রতি কোনও বিষয়ে কসম করে আর সে ব্যক্তি মনে করে যে, সে (কাজটি করে) তার কসম রক্ষা করাতে পারবে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তা না করে, তবে এর গুনাহ হবে ওই ব্যক্তির উপর, যে তার কসম রক্ষা করতে দিল না’।
(বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা: ১৯৮৯১; সুনানে দারা কুতনী: ৪২৭০)
একবার এক মহিলা উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি.-কে কিছু খেজুর হাদিয়া দিলে তিনি তা থেকে কিছু খেলেন এবং কিছু রেখে দিলেন। তখন সেই মহিলা বলল, আমি কসম করে বলছি সবগুলোই খান। তা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার কসম পূর্ণ করো। কেননা যে ব্যক্তি কসম ভাঙ্গায়, গুনাহ তারই হয়।
(বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা: ১৯৮৯২; মুসনাদে আহমাদ: ২৪৮৩৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এরকমই করতেন। কেউ তাঁকে আল্লাহর নামে কসম দিয়ে কিছু করার অনুরোধ জানালে তিনি সেই অনুরোধ রক্ষা করতেন। একবার চাচা আব্বাস রাযি. আল্লাহর নামে কসম করে তাঁর কাছে এক ব্যক্তির পক্ষে বাইআতের সুপারিশ করলে তিনি বলেছিলেন, হাঁ, আমি আমার চাচার কসম পূর্ণ করলাম।
(সুনানে ইবন মাজাহ : ২১১৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫১; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা : ১৯৮৮৯)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ কসম দিয়ে কোনও কাজ করতে বললে আল্লাহ তা'আলার নামের মর্যাদা। রক্ষার্থে সে কাজটি অবশ্যই করা উচিত, যদি তা শরী'আতসম্মত হয়।
