আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৪
৪২১। জামাআতে নামায আদায় করা ওয়াজিব।
হাসান বসরী (রাহঃ) বলেন, কোন মা যদি তার সন্তানের প্রতি স্নেহবশত ইশার নামায জামাআতে আদায় করতে নিষেধ করে, তবে এ ব্যাপারে সন্তান তাঁর মায়ের আনুগত্য করবে না।
হাসান বসরী (রাহঃ) বলেন, কোন মা যদি তার সন্তানের প্রতি স্নেহবশত ইশার নামায জামাআতে আদায় করতে নিষেধ করে, তবে এ ব্যাপারে সন্তান তাঁর মায়ের আনুগত্য করবে না।
৬১৬। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! আমার ইচ্ছা হয়, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে আদেশ দেই, তারপর নামায কায়েমের নির্দেশ দেই, এরপর নামাযের আযান দেওয়া হোক, তারপর এক ব্যক্তিকে লোকদের ইমামতি করার নির্দেশ দেই। এরপর আমি লোকদের কাছে যাই এবং তাদের (যারা নামাযে শামিল হয় নাই) ঘর জ্বালিয়ে দেই। যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! যদি তাদের কেউ জানত যে, একটি গোশতহীন মোটা হ্যাঁড় বা ছাগলের ভালো দুটি পা পাবে তাহলে অবশ্যই সে ইশার জামাআতেও হাযির হত।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীসের ভাষ্য মোতাবেক আযান শুনেও যারা মাসজিদে না যায় রসূল স. তাদের ঘর-বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ধমকি দিয়েছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয নামায জামাতে আদায় করা একান্ত জরুরী।
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
