রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
৭. রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
হাদীস নং: ৯৩৩
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:১৩ জানাযার নামাযে মুসল্লীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও তাদের তিন বা ততোধিক কাতার বানানো
জানাযার নামাযে তিন কাতার করা মুস্তাহাব
হাদীছ নং: ৯৩৩
মারছাদ ইবন আব্দুল্লাহ আল-ইয়াযানী রহ. বলেন, হযরত মালিক ইবন হুবায়রা রাযি. যখন কারও জানাযার নামায পড়তেন আর উপস্থিত লোকদের সংখ্যা কম দেখতে পেতেন, তখন তাদেরকে তিন ভাগে ভাগ করে দিতেন। তারপর বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির উপর তিন সারি লোক জানাযা পড়ে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবু দাউদ: ৩১৬৬: জামে' তিরমিযী: ১০২৮; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ১১৬২৫; সুনানে ইবন মাজাহ: ১৪৯০; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৬৬৫; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৯০৫: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৫০৫)
হাদীছ নং: ৯৩৩
মারছাদ ইবন আব্দুল্লাহ আল-ইয়াযানী রহ. বলেন, হযরত মালিক ইবন হুবায়রা রাযি. যখন কারও জানাযার নামায পড়তেন আর উপস্থিত লোকদের সংখ্যা কম দেখতে পেতেন, তখন তাদেরকে তিন ভাগে ভাগ করে দিতেন। তারপর বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির উপর তিন সারি লোক জানাযা পড়ে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবু দাউদ: ৩১৬৬: জামে' তিরমিযী: ১০২৮; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ১১৬২৫; সুনানে ইবন মাজাহ: ১৪৯০; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৬৬৫; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৯০৫: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৫০৫)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب استحباب تكثير المصلين عَلَى الجنازة وجعل صفوفهم ثلاثة فأكثر
933 - وعن مرثدِ بن عبدِ الله اليَزَنِيِّ، قَالَ: كَانَ مَالِكُ بن هُبَيْرَة - رضي الله عنه - إِذَا صَلَّى عَلَى الجَنَازَةِ، فَتَقَالَّ النَّاس عَلَيْهَا، جَزَّأَهُمْ عَلَيْهَا ثَلاَثَةَ أجْزَاءٍ، ثُمَّ قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ صَلَّى عَلَيْهِ ثَلاَثَةُ صُفُوفٍ فَقَدْ أوْجَبَ». رواه أَبُو داود والترمذي، (1) وقال: «حديث حسن».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটির দৃষ্টিতে উলামায়ে কেরাম বলেন, জানাযার নামায সর্বনিম্ন তিন কাতারে হওয়া মুস্তাহাব। লোকসংখ্যা যদি কম হয়, তবে একেক কাতারে অন্ততপক্ষে দু'জন করে হলেও তিন কাতার বানিয়ে নেওয়া ভালো। যদিও এক বা দুই কাতারে করলেও জানাযা জায়েয হয়ে যায়।
তিন কাতারের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা মায়্যিতের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। এটা একটা ওয়াদা, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে শুনিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলার ওয়াদায় কোনও ব্যতিক্রম হয় না। তবে অন্যান্য হাদীছের দৃষ্টিতে এটা স্পষ্ট হয়ে আছে যে, এর দ্বারা বান্দার হক মাফ হয় না। কাজেই মায়্যিতের উপর যদি বান্দার কোনও হক থেকে যায়, তবে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করা উচিত। অন্যথায় আখিরাতে এর জন্য সে আটকা পড়ে যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর থাকতেন। আলোচ্য হাদীছটিতেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত মালিক ইবন হুবায়রা রাযি. সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে যে, জানাযায় উপস্থিত লোকের সংখ্যা কম দেখলে তিনি তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে নিতেন। তিনি এর সপক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় লোকসংখ্যা যদি বেশি হয় এবং কাতারের সংখ্যা তিনের বেশি হয়ে যায়, তাতে অসুবিধার কিছু নেই। বরং লোক যত বেশি হবে আর তাতে কাতার যত বেশি বাড়বে ততোই ভালো।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযার নামাযে তিন কাতার করা মুস্তাহাব।
খ. প্রতিটি কাজে সুন্নতের অনুসরণ করার উৎসাহ রাখা উচিত।
তিন কাতারের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা মায়্যিতের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। এটা একটা ওয়াদা, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে শুনিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলার ওয়াদায় কোনও ব্যতিক্রম হয় না। তবে অন্যান্য হাদীছের দৃষ্টিতে এটা স্পষ্ট হয়ে আছে যে, এর দ্বারা বান্দার হক মাফ হয় না। কাজেই মায়্যিতের উপর যদি বান্দার কোনও হক থেকে যায়, তবে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করা উচিত। অন্যথায় আখিরাতে এর জন্য সে আটকা পড়ে যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর থাকতেন। আলোচ্য হাদীছটিতেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত মালিক ইবন হুবায়রা রাযি. সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে যে, জানাযায় উপস্থিত লোকের সংখ্যা কম দেখলে তিনি তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে নিতেন। তিনি এর সপক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় লোকসংখ্যা যদি বেশি হয় এবং কাতারের সংখ্যা তিনের বেশি হয়ে যায়, তাতে অসুবিধার কিছু নেই। বরং লোক যত বেশি হবে আর তাতে কাতার যত বেশি বাড়বে ততোই ভালো।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযার নামাযে তিন কাতার করা মুস্তাহাব।
খ. প্রতিটি কাজে সুন্নতের অনুসরণ করার উৎসাহ রাখা উচিত।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)