রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ

৩. আহার-পানীয় গ্রহণের আদব

হাদীস নং: ৭৭৭
পরিচ্ছেদ : ১৭ সোনা-রুপার পাত্র ছাড়া সর্বপ্রকার পবিত্র পাত্রে পান করার বৈধতা, পাত্র বা হাত ছাড়া নদী বা অন্য কোনও জলাশয় থেকে সরাসরি মুখ দিয়ে পানি পান করার বৈধতা এবং পানাহার করা, পবিত্রতা অর্জন করা ও যে-কোনওরকম কাজে সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করার নিষিদ্ধতা
হাদীছ নং: ৭৭৭
হযরত উম্মু সালামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সোনা-রুপার পাত্রে পান করে, সে তার পেটে কেবল জাহান্নামের আগুনই ঢোকায়। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৬৩৪; সহীহ মুসলিম: ২০৬৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৪১৫; মুসনাদে আহমাদ: ২৪৬৬২; মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবা ২৪১৩৫; তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর: ১২০৪৬; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা ৭৫৮৯; শুআবুল ঈমান: ৫৯৬৫)
باب جواز الشرب من جميع الأواني الطاهرة غير الذهب والفضة وجواز الكرع - وَهُوَ الشرب بالفم من النهر وغيره بغير إناء ولا يد - وتحريم استعمال إناء الذهب والفضة في الشرب والأكل والطهارة وسائر وجوه الاستعمال
777 - وعن أُمِّ سلمة رضي الله عنها: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «الَّذِي يَشْرَبُ في آنِيَةِ الفِضَّةِ، إنَّمَا يُجَرْجِرُ في بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)

وفي رواية لمسلم: «إنَّ الَّذِي يَأكُلُ أَوْ يَشْرَبُ في آنِيَةِ الفِضَّةِ وَالذَّهَبِ».
وفي رواية لَهُ: «مَنْ شَرِبَ في إناءٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ، فَإنَّمَا يُجَرْجِرُ في بَطْنِهِ نَارًا مِنْ جَهَنَّم».
(3) - كتَاب اللّبَاس

হাদীসের ব্যাখ্যা:

‘পেটে জাহান্নামের আগুন ঢোকায়’-এর অর্থ এটা তার জাহান্নামের আগুনে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ হবে। যেমন এতিমদের মাল খাওয়া সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ-
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।

এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন