রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
৩. আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
হাদীস নং: ৭৪৫
পরিচ্ছেদ : ৯ হেলান দিয়ে আহার করা মাকরূহ
হাদীছ নং: ৭৪৫
হযরত আবূ জুহায়ফা ওয়াহব ইবন আব্দুল্লাহ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি হেলান দিয়ে খাই না। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৩৯৮; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৯; জামে' তিরমিযী: ১৮৩০; সুনানে ইবন মাজাহ: ২৬২; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১১৪৩; মুসনাদুল হুমায়দী: ৯১৫; সুনানে দারিমী: ২১১৫; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৮৮৪; তহাবী শারহু মা'আনিল আছার : ৬৮৫৫)
(খাত্তাবী রহ. বলেন, এখানে হেলান দেওয়া অর্থ নিচে কোনওকিছু রেখে তার উপর ঠেস দিয়ে বসা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোঝাতে চাচ্ছেন তিনি কোলবালিশ বা অন্য কোনও হেলানের বস্তুতে বসেন না, যেমনটা বেশি খেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি করে থাকে। বরং তিনি সোজা হয়ে বসেন; কোনওকিছুতে হেলান দিয়ে আরামে নয়। তিনি ক্ষুধা মেটা পরিমাণ খান। কেউ কেউ বলেন, এখানে হেলান দেওয়া বলতে একপাশে ঝুঁকে বসা বোঝানো হয়েছে।)
হযরত আবূ জুহায়ফা ওয়াহব ইবন আব্দুল্লাহ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি হেলান দিয়ে খাই না। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৩৯৮; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৯; জামে' তিরমিযী: ১৮৩০; সুনানে ইবন মাজাহ: ২৬২; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১১৪৩; মুসনাদুল হুমায়দী: ৯১৫; সুনানে দারিমী: ২১১৫; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৮৮৪; তহাবী শারহু মা'আনিল আছার : ৬৮৫৫)
(খাত্তাবী রহ. বলেন, এখানে হেলান দেওয়া অর্থ নিচে কোনওকিছু রেখে তার উপর ঠেস দিয়ে বসা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোঝাতে চাচ্ছেন তিনি কোলবালিশ বা অন্য কোনও হেলানের বস্তুতে বসেন না, যেমনটা বেশি খেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি করে থাকে। বরং তিনি সোজা হয়ে বসেন; কোনওকিছুতে হেলান দিয়ে আরামে নয়। তিনি ক্ষুধা মেটা পরিমাণ খান। কেউ কেউ বলেন, এখানে হেলান দেওয়া বলতে একপাশে ঝুঁকে বসা বোঝানো হয়েছে।)
باب كراهية الأكل متكئًا
745 - عن أَبي جُحَيْفَةَ وَهْبِ بن عبد الله - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «لاَ آكُلُ مُتَّكِئًا». رواه البخاري. (1)
قَالَ الخَطَّابِيُّ: المُتَّكئُ هاهُنَا: هُوَ الجالِسُ مُعْتَمِدًا عَلَى وِطَاءٍ تحته، قَالَ: وأرادَ أنَّهُ لا يَقْعُدُ عَلَى الوِطَاءِ وَالوَسَائِدِ كَفِعْل مَنْ يُريدُ الإكْثَارَ مِنَ الطَّعَام، بل يَقْعُدُ مُسْتَوفِزًا لاَ مُسْتَوطِئًا، وَيَأكُلُ بُلْغَةً. هَذَا كلامُ الخَطَّابيِّ (2)، وأشارَ غَيْرُهُ إِلَى أنَّ الْمُتَّكِئَ هُوَ المائِلُ عَلَى جَنْبِه، والله أعلم.
قَالَ الخَطَّابِيُّ: المُتَّكئُ هاهُنَا: هُوَ الجالِسُ مُعْتَمِدًا عَلَى وِطَاءٍ تحته، قَالَ: وأرادَ أنَّهُ لا يَقْعُدُ عَلَى الوِطَاءِ وَالوَسَائِدِ كَفِعْل مَنْ يُريدُ الإكْثَارَ مِنَ الطَّعَام، بل يَقْعُدُ مُسْتَوفِزًا لاَ مُسْتَوطِئًا، وَيَأكُلُ بُلْغَةً. هَذَا كلامُ الخَطَّابيِّ (2)، وأشارَ غَيْرُهُ إِلَى أنَّ الْمُتَّكِئَ هُوَ المائِلُ عَلَى جَنْبِه، والله أعلم.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
খাত্তাবী রহ. বলেন, এখানে হেলান দেওয়া অর্থ নিচে কোনওকিছু রেখে তার উপর ঠেস দিয়ে বসা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোঝাতে চাচ্ছেন তিনি কোলবালিশ বা অন্য কোনও হেলানের বস্তুতে বসেন না, যেমনটা বেশি খেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি করে থাকে। বরং তিনি সোজা হয়ে বসেন; কোনওকিছুতে হেলান দিয়ে আরামে নয়। তিনি ক্ষুধা মেটা পরিমাণ খান। কেউ কেউ বলেন, এখানে হেলান দেওয়া বলতে একপাশে ঝুঁকে বসা বোঝানো হয়েছে।
হেলান দিয়ে খাওয়ার দ্বারা অহমিকা প্রকাশ পায়। খাদ্য আল্লাহ তা'আলার নি'আমত। তাই তা বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল বিষয়েই আমাদের আদর্শ। তিনি যখন বলেছেন আমি হেলান দিয়ে খাই না, তখন আমাদেরও তাঁর অনুসরণে হেলান দিয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
হেলান দিয়ে না খাওয়া খানা খাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব। আমাদেরকে এভাবে খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে।
হেলান দিয়ে খাওয়ার দ্বারা অহমিকা প্রকাশ পায়। খাদ্য আল্লাহ তা'আলার নি'আমত। তাই তা বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল বিষয়েই আমাদের আদর্শ। তিনি যখন বলেছেন আমি হেলান দিয়ে খাই না, তখন আমাদেরও তাঁর অনুসরণে হেলান দিয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
হেলান দিয়ে না খাওয়া খানা খাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব। আমাদেরকে এভাবে খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
