রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৪৫
ভূমিকা অধ্যায়
অধ্যায় : ৬০ উদারতা ও দানশীলতা প্রসঙ্গ এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কল্যাণকর খাতসমূহে অর্থব্যয় করার ফযীলত
জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করার গুরুত্ব
হাদীছ নং: ৫৪৫
হযরত ‘আদী ইবন হাতিম রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো, যদি তা খেজুরের একটি অংশ দিয়েও হয়। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী : ১৪১৭; সহীহ মুসলিম: ১০১৬; সুনানে নাসাঈ : ২৫৫২; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১১৩১; মুসনাদু ইবনিল জা'দ: ৪৫৬; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ৯৮০৩; সুনানে দারিমী: ১৬৯৮; মুসনাদুল বাযযার: ৬৬১৯; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ২৭০৭; সহীহ ইবন খুযায়মা: ২৪২৯)
হাদীছ নং: ৫৪৫
হযরত ‘আদী ইবন হাতিম রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো, যদি তা খেজুরের একটি অংশ দিয়েও হয়। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী : ১৪১৭; সহীহ মুসলিম: ১০১৬; সুনানে নাসাঈ : ২৫৫২; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১১৩১; মুসনাদু ইবনিল জা'দ: ৪৫৬; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ৯৮০৩; সুনানে দারিমী: ১৬৯৮; মুসনাদুল বাযযার: ৬৬১৯; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ২৭০৭; সহীহ ইবন খুযায়মা: ২৪২৯)
مقدمة الامام النووي
60 - باب الكرم والجود والإنفاق في وجوه الخير ثقةً بالله تعالى
545 - وعن عَدِيِّ بن حَاتِمٍ - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে বলেছেন। জাহান্নাম পাপীদের ঠিকানা। সেখানে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তার প্রধান শাস্তি النار (আগুন)। তাই জাহান্নামের অপর নামই النار। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা'আলা বারবার মানুষকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং এর থেকে বাঁচার তাগিদ দিয়েছেন। যেমন ইরশাদ হয়েছে-
فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ
‘তোমরা বাঁচো ওই আগুন থেকে, যার ইন্ধন মানুষ ও পাথর।( সূরা বাকারা (২), আয়াত ২৪)
জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার আদেশ-নিষেধ পালন করা। অর্থাৎ সৎকর্ম করতে থাকা ও অসৎকর্ম পরিহার করে চলা। সৎকর্ম আছে বিভিন্ন রকম, যেমন আল্লাহর পথে দান-সদাকা করা।
এ হাদীছে প্রধানত সদাকার কথাই বলা হয়েছে যে, একটা খেজুরের একটি অংশ সদাকা করে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচো। এর দ্বারা সর্বনিম্ন সামর্থ্যের কথা বোঝানো উদ্দেশ্য। কারও অবস্থা যদি এমন হয় যে, সে কোনও ক্ষুধার্তকে একটা মাত্র খেজুর দেওয়ারও সামর্থ্য রাখে না, অর্থাৎ দেওয়ার মতো একটা খেজুরও তার কাছে নেই, একটা খেজুরের অর্ধেক মাত্র আছে, তবে সে সেই অর্ধেকটুকুই দিয়ে দেবে। আল্লাহ তা'আলা মানুষের দানের অংক দেখেন না। তিনি দেখেন তার মন। অর্থাৎ তার মনে দেওয়ার ইচ্ছা আছে কি না। যদি দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী যা দেবে তাই আল্লাহর কাছে মূল্যবান। তাকেই আল্লাহ তার জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে কবুল করে নেবেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম দুর্বিষহ শাস্তির ঠিকানা। অন্তরে তার ভয় জাগ্রত রেখে সর্বদা তা থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা থাকা চাই।
খ. দান-খয়রাত জাহান্নাম থেকে বাঁচার একটি উপায়। কাজেই যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব দান-খয়রাত করা উচিত।
গ. নিতান্ত গরীব ব্যক্তি যদি অতি সামান্য কিছুও দান করে, তবে তাও তার জাহান্নাম থেকে বাঁচার কারণ হতে পারে। কাজেই সামান্য বলে তাকে তুচ্ছ মনে করতে নেই।
فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ
‘তোমরা বাঁচো ওই আগুন থেকে, যার ইন্ধন মানুষ ও পাথর।( সূরা বাকারা (২), আয়াত ২৪)
জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার আদেশ-নিষেধ পালন করা। অর্থাৎ সৎকর্ম করতে থাকা ও অসৎকর্ম পরিহার করে চলা। সৎকর্ম আছে বিভিন্ন রকম, যেমন আল্লাহর পথে দান-সদাকা করা।
এ হাদীছে প্রধানত সদাকার কথাই বলা হয়েছে যে, একটা খেজুরের একটি অংশ সদাকা করে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচো। এর দ্বারা সর্বনিম্ন সামর্থ্যের কথা বোঝানো উদ্দেশ্য। কারও অবস্থা যদি এমন হয় যে, সে কোনও ক্ষুধার্তকে একটা মাত্র খেজুর দেওয়ারও সামর্থ্য রাখে না, অর্থাৎ দেওয়ার মতো একটা খেজুরও তার কাছে নেই, একটা খেজুরের অর্ধেক মাত্র আছে, তবে সে সেই অর্ধেকটুকুই দিয়ে দেবে। আল্লাহ তা'আলা মানুষের দানের অংক দেখেন না। তিনি দেখেন তার মন। অর্থাৎ তার মনে দেওয়ার ইচ্ছা আছে কি না। যদি দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী যা দেবে তাই আল্লাহর কাছে মূল্যবান। তাকেই আল্লাহ তার জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে কবুল করে নেবেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম দুর্বিষহ শাস্তির ঠিকানা। অন্তরে তার ভয় জাগ্রত রেখে সর্বদা তা থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা থাকা চাই।
খ. দান-খয়রাত জাহান্নাম থেকে বাঁচার একটি উপায়। কাজেই যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব দান-খয়রাত করা উচিত।
গ. নিতান্ত গরীব ব্যক্তি যদি অতি সামান্য কিছুও দান করে, তবে তাও তার জাহান্নাম থেকে বাঁচার কারণ হতে পারে। কাজেই সামান্য বলে তাকে তুচ্ছ মনে করতে নেই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)